হৃদয়ের মাঝে কুচকুচে কালো রেখে,
বদনে সদাই নানা প্রসাধনী মাখি।
প্রয়াস প্রবল লোহার শিকলে বেঁধে,
গগনে উড়ায় মিথ্যে ফানুস পাখি।
বুকের ভেতরে রেখে পচা গলা মন,
কণ্ঠে ঝুলায় মানিক-রতন, হিরা।
অপ্রতিরোধ্য ভণ্ডের ফুলঝুরি,
রক্তে মিশিয়ে বিকায় সকল শিরা।
উপরে আলতা সাবান মাখায় রোজ,
দেখি না ভুলেও কতোটা পচন মনে।
কজ্জল মেখে ধুয়ে ধুয়ে কালো চুল,
অমোঘের তালা এঁটে দেই তপোবনে।
রুগ্ন মনের যায় যায় হাল তবু,
রঙিন পোশাকে সাজাই মাটির গতর।
উত্তাল স্রোতে ভেসে ভেসে দিন-রাত,
মনের ব্যাপারে হয়ে থাকি বেখবর।
ধরণীটা যেন ভাসছে কালের স্রোতে,
যথাযথ ভুলে সাজছি সবাই মাকাল!
স্বভাবে মাখছি চ্যুত-চিহ্নের দাগ,
তাই তো এখন মানুষের বড় আকাল!