শাহবাগ যে গনক আছে
গেছি আমি ওনার কাছে
বছর দুয়েক আগের কথা
ভাবলে ঘামে গা,
আগাগোড়াই ভাগ্য আমার
নকল পিতল কিংবা তামার
তবু এটা জোড়া দেবার
চেষ্টা করেন মা।


মায়ের কথায় সেথায় গেলাম
গনক কাকায় দিলাম সেলাম
সাথে-সাথে বলল কাকা
"পাশে বসে যা।"
পাশে বসে বলি কাকা
"থেমে আছে জীবন চাকা।"
কাকা বলে, "চক্ষু বুজে
মুখটা করো হা।"


বোয়াল মাছের হা... করে
নিজের দু-হাত চোখে ধরে
উপর দিকে চেয়ে দেখি
উড়ছে কাকের ছা,
সাথে-সাথে মুখটি বুজে
কাকার বলি, "দেখুন খুঁজে
হাতের রেখার ভাগ্যগুলো
কেন ভালো না?"


কাকা বলেন, "কেমন রেখা?
নেই তো এতে কিছু লেখা
শনি,মঙ্গল, বৃহস্পতি
এক হলে হয় যা!
আরও অনেক দোষে ভরা
সহজ না-তো এ ঠিক করা
বেশি কিছু মূল্য দিলে
বিলীন হবে ঘা।


হাজার টাকা দিলেই হবে
কপাল খুলে যাবে তবে
দেখবে তখন ভাগ্যে তোমার
হতে থাকে কী!
চরণ পরে চরণ রেখে
হুকুম দেবে হেঁকে-হেঁকে
নিয়ে আসো তাড়াতাড়ি
পান্তা ভাত আর ঘি।


চক্ষু বুজে অনেক বড়
জলদি করে হা তো করো
দু'ফোঁট জায়ু খেয়েই দেখো
কেমন লাগে তা।"
বলি আমি দুঃখ ভরে
"দেখিয়ে দিন নিজে করে।"
সাথে-সাথে চক্ষু বুজে
কাকা করে হা।


ওমনি কাকে হেগে দিলো
কাকাও সেটা খেয়ে নিলো
ভাবলো আমি ঔষধ মুখে
দিয়েছি ওটা!
চক্ষু খুলে বুঝলো কাকা
জোরে দিলো গায়ে ঝাঁকা
কাকের দিকে গায়ের জোরে
ছুঁড়েছে কৌটা।


আমি তখন কাকার বলি
"ঝালাই করো আপন তলি
তোমার মুখে কাকে হাগবে
এটাই জানো না?
কেমন করে পরের কপাল
দিবে গড়ে তুমি গোপাল
ভুলেও কিন্তু উপর দিকে
আর করো না হা!"