জানো পিতা?
আমার ঘরের দক্ষিণ দেয়ালে
৭ ই মার্চের তোমার যে ছবিটি আছে,
মাঝেমাঝেই নিশি রাতে সেটার ধূলো মুছি আমি।


তখন আমার শরীরের সমস্ত রূধির
বিনম্র চিত্তে তোমায় কুর্নিশ করে,
কখনোবা নীরবতা ছুঁয়ে যায় রজনীর অসম্পৃক্ত শরীরে,
কখনো কখনো আমার কবিতার ভাষা
হুংকার ছেড়ে ওঠে,
কখনোবা কিছু কথা নিঃশব্দেই হারিয়ে যায়।


কখনোবা তোমার কথা মনে এলেই-
অগত্যা, শব্দের খোঁজে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে
তখন আমি উদাস দৃষ্টিতে চোখ রাখি চেনা রাস্তায়।


এ জীবনে বহুবার তোমাকে দেখে-
ঘুম ভেঙে গেছে নির্দায়ী স্বপ্নের অন্তরালে,
তুমি কি তা জানো পিতা?


তোমার ৭ ই মার্চের ভাষণ আমি বহুবার দেখেছি আমার নির্জন স্বপ্নের জঠরে,
তখন আমায় গায়ের লোম উন্মুক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে ওঠেছিল!


অনেকগুলো ৭ই মার্চের রাতে
আমি অনেকবার হেঁটে গিয়েছি রেসকোর্স ময়দানে।


ততক্ষণে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল পার্কের সব বেঞ্চ
থেমে গেছে শিশুপার্কের দোলনার স্বকীয়তা,
এমন কী থেমে গেছে অবাঞ্চিত লোকদের আগমন।


তুমি জানো পিতা?
কখনো কখনো আমার রক্ত দাউদাউ করে ওঠে,
ঘাতকের প্রলুব্ধ আক্রোশ থেকে দেশকে মুক্তি দেবার জন্য।


পরক্ষণেই বেলোয়ারি ঝড় থেকে প্লাবিত নদীর সংকীর্ণতার মতো চুপচাপ সয়ে যাই।


তখন তোমাকে খুব অনুভব করি পিতা...
মনে হয়-
তুমি যদি আবার ফিরে আসতে,
আবার বলতে তোমার অমর কবিতাখানি,
"এবারের সংগ্রাম ঘাতক মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম দেশ গঠনের সংগ্রাম।"


আবার তোমার এই কবিতাটি শোনার জন্য
আমরা অধির অাগ্রহে বসে আছি পিতা,
শুধু আমি নয় পিতা
আজ সমস্ত বাঙালি তোমার অপেক্ষায়...
তুমি কি তা জানো পিতা?