বিয়ের বয়স পাড় হয়েছে
আমার অনেক আগে,
তবু আজও মনের মাঝে
নতুন স্বপ্ন জাগে।
যে যাই বলুক আমি জানি
দোষটা আমার নয়,
দেখতে শুনতে সময় গেলো
আর মনে ছিলো ভয়।
ছোটো ছোটো বলে মায়ে
রাখলো আঁচল ঢেকে,
আয় বানিজ্য নেইতো বলে
বাবাও বসলো বেঁকে।
বাবা মা নেইতো আজ আর
নেই তো পিছের টান,
কারো বাধাঁয় সায় না দেবো
কারোর কথায় কান।
পরামর্শ নিয়েই এবার
কষে কোমর বেঁধে,
নিজের বিয়ের ভার তুলেছি
নিজেই নিজের কাঁধে।
সারা দেশে জানবে সবাই
যতো মেয়ের বাবা,
এই না হলো যোগ্য পাত্র
আর কি পিছু ভাবা।
লিখে দিলাম পত্রিকাতে
পাত্রী আমি চাই,
কম বেশি তার বয়সে কোন
মতভেদ আমার নাই।
বয়স আমার খুব বেশি না
চল্লিশ কি বিয়াল্লিশ,
চেহারা ঠিক যুবক দেখায়
না দিলেও পালিশ।
চুল দাড়িতে পাক ধরলেও
মনটা খুবই সবুজ,
ঠিকই ম্যানেজ করে নেবো
কন্যা হলে অবুঝ।
আমার রংটা ফর্সা কিনা
স্পষ্ট কেমনে বলি,
এই না ভেবে মানতে রাজি
মেয়ে পাগলী পাগলী।
প্রতিবন্ধী চাকরিজীবী
বেকার না হয় ছাত্রী,
এমন কোন মেয়েই আমার
হতে পারে পাত্রী।
ফর্সা হলে ভালো হয়
অন্যথায় নয় মন্দ,
সহায় সম্পদ বেশি হলে
নেই আর কোন দন্দ।
অধিক মোটা অধিক খাটো
অধিক ওজন নয়,
পাঁচ ফুট ছয় ষাট হলে
সমানে সমান হয়।
রান্নার কাজে ঘরের কাজে
পারদর্শী হলে,
বিবেচিত হবে অধিক
অভিজ্ঞতা বলে।
দুটি একটি ছেলেমেয়ে
পাত্রীর যদি থাকে,
অসুবিধা নাই যে কোন
বাবা যদি ডাকে।
অপয়া ঝগড়াটে না হয়
হিংসুটে সভাব,
কাঠ কপালে স্বামী মরে
বা হিজড়া হিজড়া ভাব।
তারপরেও থাকে কিছু,
ব্যক্তিগত গোপন,
তাতেও কিন্তু আটকাবেনা
শুভ বিয়ের লগন।
বাবা মায়ের খুব আদুরে
ভাইবোন কিছুই নাই,
এমন পাত্রীর ইচ্ছায় হবো
তাদের ঘর জামাই।
আরও যদি যোগ বিয়োগের
চুক্তি মনে চায়,
তাও পরন হতে পারে
দু পক্ষের ইচ্ছায়।
আগ্রহী সব প্রার্থী যারা
বিবরন সব বুঝে,
অতি দ্রুত খবর করুন
পনেরো দিনের মাঝে।
আমার নামেই বাড়ির নামটি
শহরের পাশ গ্রামে,
যে কেউ কাউকে বললে কথা
চিনবে এক নামে।।