বাংলার মাঠ ঘাট শ্রাবণের শেষে
থই থই জল পেয়ে ভরে ওঠে হেসে,
কৃষকেরা পাটগাছ কেটে বাঁধে আঁটি
জাগ দিতে খালে ফেলে দেয় চাঁপা মাটি।
উদোম গায়েই নামে কিশোরের দল
লাফ ডুব সাঁতরিয়ে করে কোলাহল!
ভয়ে মাছ লাফ দিয়ে পাট জাগে ওঠে
মাছ দেখে খুশি মনে হাঁস বক ছোটে।


পাট পঁচা গন্ধটা ভেসে আসে নাকে
দম নিতে মাছেরাও ভাসে ঝাঁকে ঝাঁকে,
কেউ মারে কোঁচ ছুড়ে, কেউ ফেলে জাল
পাট পঁচা গন্ধে মাছ মাতাল মাতাল!
কচুরিপানা আর শাপলা ফুল মিলে -
ইশারায় ডাক দেয় ফুটে বিলে ঝিলে,
ডাক শুনে পাখি যায় আর মৌমাছিরা
দল বেঁধে ফুল তুলে কিশোরী সাথীরা।


পাট জাগ হয়ে গেলে কৃষকের দল
শোলা বেছে আঁশ নেয়, রোদ ঝলমল!
ঝলমলে রোদে পাট লাগে পাকা সোনা
যেন বাঁশের আঁড়ে সোনা সাজানো বোনা।
শোলাগুলো আঁটি বাঁধা, সারি সারি খাড়া
মশকরা করে বলি এই তোরা কারা?
বাতাস এলেই পড়ে ধপাস ধপাস!
রাতে দেখে মনে হয় যেন কারো লাশ।