সারা গায়ে কালি গো মা সারা গায়ে কালি
পা'দুটি তার বেজায় ফাটা বসন জোড়াতালি
এমনি কি আর বেঁকে হাটে? পিঠে উঁচু কুঁজো
লোকটি কেমন হতে পারে একটু তো মা বুঝো?


কাঁধে ঝোলা পুঁটলিখানা তার সমস্ত পুঁজি
এবার তুমি বুঝলে তো মা? বুঝলে নাকো বুঝি?
তাকে আমরা খেতে দিলে রবের জিকির করে
দুখের কথা শোনায় আর মারফতি গান ধরে।


রুগ্ন সুগ্ন শরীর তার মা, কোমরে নাই বল!
সবসময় তার গাল বেয়ে ঝরে চোখের জল,
মুখখানি তার ঢেকে রাখা শাড়ির আঁচল টেনে
সুখ নাকি সে দুখ কপালী সবই গেছে জেনে!


সে তোমাকে মা ডাকে মা, আমায় ডাকে বোন
তার কথা আজ বলতেছি মা, মন দিয়ে তুই শোন;
মাথায় যেন তুলোর বোঝা, রয় প্রতিদিন রোজা;
পা বেঁকিয়ে পথ চলে সে-- হাতের লাঠি সোজা।


লাঠি দিয়ে মারে না সে, ভর করে পথ চলে -
লাঠির মাথায় ঠেকিয়ে মাথা, ঘুমে পথেই ঢোলে!
লোকে তাকে ভিক্ষুক ডাকে, তুমি ডাকো মাসী
যখন তুমি ভাত খেতে দাও, ফোটে তার হাসি।


ওমন করে ভাবছ কি মা? নেই মনে তার কথা?
বাবা শুনে বলেছিলেন তার কথায় খুব গভীরতা,
এত্ত করে বলছি তাও মা, ভাবটা তোমার চিন্তুক?
তার রাজ্যে পাহাড় সমান আছে দুখের সিন্দুক।