মেঘ বালিকা মেঘ বালিকা এলো মোদের গাঁয়
টাপুর টুপুর ছন্দ তালে নূপুর পরে পা'য়,
যেথায় যায় সেথায় বাজে মেঘ বালিকার নূপুর
সকাল থেকে সন্ধ্যা আর রাত্রি থেকে দুপুর।


মেঘ বালিকার নূপুর তো ভাই স্বচ্ছ জলের ধারা
যেথায় নামে মেঘ বালিকা ছোটে বাঁধন হারা,
মেঘ বালিকার ছোঁয়ায় ফিরে সবুজ তরুর প্রাণ
পাখপাখালিও আপন সুরে জুড়ে মধুর গান।


মেঘ বালিকার ছন্দ তালে গাছের পাতা নাচে
মেঘ বালিকার সঙ্গ পেলে ভিজতে মনও যাচে,
শ্রাবণ ধারায় মনটা হারায় বর্ষা বাদল দিনে
মেঘ বালিকা রাখছে বেঁধে শত হাজার ঋণে।


মেঘ বালিকার ভালোবাসায় ভরে নদীর বুক
মাছের পোনা ছুটে বেড়ায় পেয়ে স্রোতের সুখ,
ধানের ক্ষেতে পাটের ক্ষেতে থই থই থই জল
মেঘ বালিকার পায়ে বাজে জলের ভারি মল।


মেঘ বালিকা হাসলে জল ঝরে পড়ে ঝরঝরিয়ে
মাঠের তরু মাথা নেড়ে বেড়ে ওঠে তরতরিয়ে,
মেঘ বালিকা আসে যখন, সূর্য মামা আসে না
চাঁদের কন্যা চাঁদ কুমারী মিটমিটিয়ে হাসে না।


মেঘ বালিকা মেঘ বালিকা, মেঘ বালিকার দল
যেথায় যায় সেথায় ছোটে ছল-ছলা-ছল,
নানা রকম বাজনা বাজে মেঘ বালিকার পায়ে
মেঘ বালিকার নৃত্য সদা ভালো লাগে গাঁয়ে।


[০৪ জুলাই ২০২৩ "ভোরের দর্পণ" পত্রিকায় প্রকাশিত]