ভেতরে রুচির চরম দুর্ভিক্ষ
পদ্ম তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়ি নর্দমায়
লুন্ঠন হাতে ছুটি অন্ধকারে,
শরবতের পরিবর্তে অবলীলায় পান করি
নিমফল চিরতা ভেজানো জল,
হঠাৎ মাঝ রাতে বেরিয়ে পড়ি ঘরের বাইরে
চাঁদের জোছনার পরিবর্তে মাখি
নিয়ন বাতির আলো।


আমি ধূমকেতুর মতো ছুটি দ্রুতগতিতে
এক রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে,
আজকাল আমি দলছুট হয়ে ছুটি
তবুও পিছু নেয় কিছু দুষ্টুর দল,
আমার রুচির সাথে ওদের রুচি না মিললেই
ওরা আমার দিকে আঙুল তুলে বলে ওঠে -
"শালা তোর রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে,
তুই বিকৃত, তুই রুচিহীন, তুই পাগল।"


আমি রুচিহীন উপাধি নিয়েই
রুচিশীল মানুষের রুচির দুর্ভিক্ষ রচনা করি,
পৃথিবীতে এত এত রুচিশীল মানুষের মধ্যে
শুধু আমিই রুচিহীন!
ক্ষুধার্ত মানুষের চোখ- দেখে শুধু খাদ্য'
আর আমি দেখি রুচির দুর্ভিক্ষ !
রুচিশীল মানুষের রুচির চরম দুর্ভিক্ষ।