খুঁতখুঁতে স্বভাবের ছেলেটা
বিয়ের আগে কারো এঁটে খাবার খেতো না,
তার গ্লাসে কেউ মুখ লাগালে-
ওই গ্লাস অন্তত তিনবার ধুতো,
বাড়িতে তার জন্য থাকতো আলাদা একটা ঘর
এবং ঘরের ভেতরকার সবটা জুড়েই থাকতো তার আসবাব,
কেউ সেগুলো ছোঁয়ার অধিকার রাখতো না।


খুঁতখুঁতে স্বভাবের ছেলেটার মা প্রায়ই বলতো-
বিয়ের পর তুই আর এমন থাকবি না,
তোর বউ মুখ থেকে থুথু বের করে হাতে দিলেও চেটেপুটে খাবি,
ছেলেটা নাক সিঁটকাতো,
গর্ব করে মাকে বলতো কক্ষনোও না,
আমি এমনই থাকবো, একটুও বদলাবো না।


শুনেছি ছেলেটা বিয়ে করেছে,
এখন ছেলেটা প্রায়ই বউয়ের হাতের মাখানো ভাত খায়,
রোজ রোজ খায় এঁটে খাবার,
বউ গ্লাসের যেখানে ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করে
ছেলেটাও নাকি সেখানেই ঠোঁট লাগায়,
শুনেছি বউটা মুখ থেকে থুথু মাখানো আইসক্রিম বের করে দিলেও
ছেলেটা মহানন্দে মুখে পুড়ে নেয়।


আসলে ছেলেরা এমনই হয়
বউ পেলে একদম পুরোপুরিই বদলে যায়,
বাউন্ডুলে ছেলেরাও হয় ঘরমুখো,
বিয়ের পর কেন জানি বউয়ের এঁটে করা খাবারের প্রতি ছেলেদের ঘৃণা জন্মায় না,
তখন বউয়ের ঠোঁট ঠোঁট লাগিয়ে মুখ থেকে লালা চুষে খেতেও নাকি মজা লাগে,
খুঁতখুঁতে স্বভাবের ছেলেটা কী ভেবেছিলে?
মায়ের সেদিনের কথাগুলো বিয়ের পর একদম হুবহু মিলে যাবে।