ব্যক্তিগত কেউ নেই বলে
বহুদিন আয়নায় নিজেকে দেখিনি!
একদিন শীতের অলস দুপুরে
নিজেকে দেখার ভীষণ ইচ্ছে হলো,
আয়না খুঁজতে গিয়ে মনে পড়লো
সাত বছরের পুরোনো স্মৃতি!
আহ্! আয়নাটা চেনা চেনা, খুব চেনা।
সাত বছর আগে এই আয়নাটাই
মাত্র দশ টাকা দিয়ে কেনা।


ধূলোবালি জমে আছে ফ্রেমে
অবয়ব দেখা যায় আবছা ঘোলা,
সন্তান-জননী কিংবা বন্ধু-বন্ধুর মতো
আয়নার সাথে বেড়ে গেল সখ্যতা,
পরম যত্নে ধূলোবালি মুছে—
আধমরা রোদে দেখলাম চেহারাটা।


এটা কার মুখ? ভেবে উন্মুখ!
রঙচটা গাল, ভাঙা চোয়াল
বন মানুষের মতো গোঁফ দাড়ি
এটা কে? এটা কার অবয়ব?
আমি নিজেই নিজেকে চিনতে না পারি!
পাক ধরা উসকোখুসকো চুল
স্বজোরে টেনে নিজেকে পরীক্ষা করি
এটা আমি? নাকি দেখার ভুল।


ব্যক্তিগত কেউ নেই বলে
কেউ আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছে না,
এই আয়না, এই চেহারা অবিশ্বাস্য!
আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না,
সাত বছর আগে এই আয়নায়
যেই আমিকে দেখেছি, আমি কী সেই?


ব্যক্তিগত কেউ নেই বলে
একজন ব্যক্তিগত মানুষের অভাবে
আমি নিজেকে চিনতে পারছি না!
হে পৃথিবীর মানুষ, অন্তত একজন
অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন—
আমি কী সেই? আমি কী সেই? আমি কী সেই?