জীবনে এমন সময় আসে -
যখন কোনকিছু ভালো লাগে না।
ভালো লাগে সংসার, পরিজন, ছেলে-মেয়ে, গুপ্তধন!
তখন কেমন জানি হয়ে যাই
একদম বারো বছরের কিশোরীর মতো -
খুব এলোমেলো, অগোছালো।
যেন বারবার ভুলে যাই চুল বাঁধতে
বুকে উড়না দিতে!
তখন নিজেকে কিছুটা উদাস উদাস
আর পাগল মনে হয়।


কখনো কখনো মনে হয় -
একটু কষ্ট পেলেই কিশোরীর প্রথম ঋতুস্রাবের মতো ভেঙে পড়ি কান্নায়,
কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না!
সব ব্যথা নিরবে মেনে নিই, মানিয়ে যাই
কাউকে বলতে পারি না লজ্জায়।


জীবনে এমন সময় আসে -
যখন মনে হয় স্কুল ছুটির মতো জীবন থেকেও কয়েকটা দিন ছুটি নিই,
পড়ালেখার মতো বাস্তব জীবনের সমস্ত ব্যস্ততা ফেলে কয়েকটা দিনের জন্য হারিয়ে যাই
গহীন অরণ্যে, সবুজের সমারোহে!
মনে হয় কয়েকটা বিকেল ছুটে বেড়াই
ঘাস ফড়িং আর প্রজাপতির পিছু পিছু।


জীবনে এমন সময় আসে -
যখন মনে হয় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি,
নিজেকে হারানোর যন্ত্রণায় ছোটাছুটি করি!
নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে ফিরে যাই
আঁতুড়ঘরে, শৈশবে, কৈশোরে, যৌবনে;
যেখানে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে যাপিত জীবনের ভাঙাচোরা অংশ!


মাঝে মাঝে মনে হয়,
এক পাহাড় কষ্ট নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে মরি!
কিন্তু নদীর মোহনা আমাকে নিক্ষেপ করে দুঃখের সাগরে!
ভেবেছিলাম একদিন পৃথিবীর সবার দেওয়া সমস্ত দুঃখ নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব,
অথচ দুঃখী মানুষ চেনার কোনো উপায় নেই!
দেখুন, সবাই কী চমৎকারভাবে হাসছে.......।


জীবনে এমন সময় আসে,
যখন মনে হল কারো প্রতি কোনো অভিযোগ না দিয়ে
একটা হাসির আড়ালে জীবনের সমস্ত কষ্ট লুকাই,
আর নির্দোষ আসামির মতো খুনের অপবাদ মেখে
ফাঁসির দড়িতে ঝুলে থাকি মৃত্যুর অপেক্ষায়।