আমাকে ঋণী করেছ জননী, করেছ জন্ম দান
আদর সোহাগে করেছ বড়, করিয়েছ দুগ্ধ পান,
নিজের ঘুম হারাম করে রেখেছ আমাকে সুখে
নিজের ভাগের খাবার তুলে দিয়েছ আমার মুখে।


মমতাময়ী মা তুমি, জানে সকলে এ বিশ্ব জাহান
নিজেকে ভেঙে গড়েছ আমায়, করেছ আত্ম দান,
আরশের ছায়া দিয়েছ এনে বিছিয়ে শাড়ির আঁচল
বেহেস্ত এসে ঠিক লুটিয়ে পড়ে তোমার কদম তল।


আমার অসুখে কাঁদো, ছেড়ে দাও নিদ্রা আহার
আমার দুঃখে সদা রয় তোমার মায়াবী মুখটি ভার!
আমার খুশির দিনে সবচেয়ে বেশি হাসো যে তুমি
সোহাগ মিশিয়ে ডাকো, গালে মুখে দাও শত চুমি।


সকলে কী এমন হয়? যেমন সকলের জননী
মায়ের সেবায় কাটালেও জনম থেকে যায় ঋণী!
মায়ের ঋণ শোধ হবে কীসে? ভেবে হই দিশেহারা
কেউ কী এসেছি আপনাআপনি জগতে মা ছাড়া?