আমার উদ্ভট, অশালীন,
অশ্লীল অসভ্য উশৃঙখল
বেমানানরূপে বেড়ে ওঠা জীবনে;
তুমিই একমাত্র সভ্যতার সোপান।
সময় জ্ঞান কাণ্ডহীন
চলনে-বলনে অবহেলায়
দিন যাপিত আড্ডায় মশগুলে
তুমিই প্রথম আমায় চিনিয়ে ছিলে
যে,ঘড়ির কাটা সময় মেপে নেওয়া যায়।
উদাসীন উষ্ণ বিতৃষ্ণায়
ক্লান্ত পথিকের মতো
জীবন যখন ভাসিয়ে দিয়েছিলাম
শুণ্য আকাশে উড়ন্ত
গন্তব্যহীন পাখির মতো।
ভগ্ন হোক, মলিন হোক কিংবা টেনে টুনে
প্রশস্ত দেহখানা অবিশ্রান্ত বিশ্রামের জন্যে হলেও
আমারো যে একটা নীড় হতে পারে
তুমিই আমায় প্রথম সন্ধ্যান দিয়েছিলে।
তুমিই আমায় প্রথম চিনিয়ে ছিলে
প্রভাত ফেরী প্রভা
রাত্রী দামিনী চন্দ্রিমা।
তুমিই পারো দমিতে,
বর্বর জ্ব্যোজুল্লমান ক্ষীপ্রতায়
লেলিহান যৌবনেরে মৃয়মান করতে,
চুম্বনের লোলুপ লালা রসে,
যে রসে বিষ মিশ্রিত নয়
যে চুম্বনে মিশে থাকবে
অপার ভালবাসা স্নেহ মায়া মমতা।
তুমি পাশে থাকলে হয়তো
কামানের শব্দে নগর বিধ্বংস,
নগরীর শিশুর কান্না,মায়ের আহাজারি
স্বজনের হাহাকার বিস্ফারিত হবে না।
তুমি চাইলেই পুলকিত হতে পারে
সিরিয়া লাইবেনিয়া তুরস্ক
ইরাক ইরানের যুদ্ধ বিধ্বংসী
কামানের শব্দে ভালবাসা।
ধ্বনিত হতে পারে
রবি ঠাকুর, নজরুল, দিজেন্দ্রলালের
স্নেহময়ী দেশমাতৃকার
অবিনাশী শ্বাশত সেসব গান।
তুমি চাইলেই
গাছের প্রতিটি পাতায় পাতায়
ঝড়ে পড়তে পারে মানবিকতা।
আগুনের উত্তপ্ত লেলিহান শিখায়
হিম নেমে আসতে পারে।
শীতের কনকনে ঠান্ডায়
সত্তোরোর্ধ্ব বৃদ্ধা দমদমিয়ে
বুক চেতিয়ে পূর্ণ যৌবন ফিরে পেতে পারে।
আমায় এক খন্ড মানবিকতা
উপহার সরূপ দেবে?
আমি এক ঐশ্বর্যময় সভ্যতা
বসুধার প্রতিটি প্রান্তরে প্রান্তরে
প্রতিটি গীর্জায়, মসজিদে, মন্দিরে
কাঁধে কোলে পিঠে বয়ে নিয়ে যাবো।


সাঞ্জু
১৭.১১.২০