বহুত দিন হলো লিখি না, লিখতে খুব ইচ্ছা করে
পঙক্তির সাথে পঙক্তি গেঁথে,কবিতার মতো করে।
ভাবতে চাই, ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে,
পৌঁছে যাক তোমার করুন,অভিমানী মাতৃ-ভালোবাসায়।
ঠিক,কোথায় যেন টান পড়ে, চঞ্চলতা পেয়ে বসে
ভাবনার ভেতর মাথাটা ঝিমঝিম করে,
হারিয়ে যায় ভাবনাগুলো,ঝিমিয়ে যায় উৎকন্ঠায়
হৃদয়ে জেগে ওঠা জমে থাকা ভালবাসা গুলো,
অস্থিরতায় তন্দ্রার ভিড়ে দেখি-
তোমার মুখ অমাবস্যার চাঁদ, মলিন বেসে।
এখনো কি তুমি বাতাসে পোড়া গন্ধ শুকো?
পোড়া কাঠ-কয়লার স্তূপে সাদা কাপড়ে আঁতকে উঠো!
জনশূণ্য ঘরটায় অপেক্ষার প্রহর গুনো?
এখনো কি তুমি, সেই আগের মতো-
ভোর রাতে নদীর হিমেল হাওয়া,নদীর গো গো শব্দে
ভয়ে চুপসে বোকার মতো কান্না করো?
আচমকা শেয়াল-কুকুরের ভয়ানক কান্নায়
কুঁকড়ে জড়সড় হয়ে চুপটি করে থাকো!
ঝড়-বাদলের দিনে বজ্রপাতের বিভৎস শব্দে
সৃষ্টিকর্তার নামে নির্জন আটপৌরে ঘরটায়
একাকী নিঃসঙ্গ রাত্রি যাপন করো!
আচ্ছা, ক্ষ্যাপাটা কি এখনো কথা শোনায়?
আমাকে নিয়ে খোঁটা দেয়, চোখ রাঙ্গায়
হুটহাট করে রেগে চিৎকার করে ওঠে,
খাবার হাঁড়িতে অলুক্ষণে তাণ্ডব করে?
করে করুক,সয়ে নিও আর কয়েকটা দিন,
সাথে থেকো, মানিয়ে নিও,সঙ্গ দিও।
জানো, ক্ষ্যাপাটা মানুষ হিসেবে যতো নিকৃষ্টই হোক,
যতো পাপিষ্ঠই হোক, যতো উদ্ভট পাগলাটেই হোক;
বাবা নামক সত্ত্বাটায় যেন পৃথিবী শ্রেষ্ঠ।
জানো, আমার কলমের কালি এখন রক্তাক্ত লাল
আর ডায়েরীর প্রতিটি পাতা যেন-
অমবস্যার অন্ধকারের মতোই বিদঘুটে কালো।
ভাবনাগুলোয় হাঁটতে গেলেই থমকে যাই
কোন কিম্ভুতকিমাকার পিশাচের দল
আমাকে ছোবল দেয়, গোগ্রাসে গিলে ফেলে।
মস্তিষ্কে-মগজে, চিন্তায়-মননে,
হৃদয়ের ভেতরে থাকা আমিত্বের সমগ্র জুড়ে,
আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় কোন এক অজানা ভয়।