একটু শোকের আগুন হবে?
একটু তৃপ্ততার জল
দুঃখ দুঃখ ঝাল,
বেদনা বেদনা তেঁতো,
যন্ত্রণা যন্ত্রণা হালকা টক হবে?
আনন্দ আনন্দ অনুভূতি মিষ্টি
সুখ সুখ চিনি বা গুড় কি হবে?
সবকিছুর একটা মিক্সচার বানিয়ে
মনের পিপাসু মুখে নিয়ে
প্রশান্তির পেটে ঠান্ডা কোমল
সুমিষ্ট শরবত পৌছে দিতাম।
সবুজ পাতার কচি সবুজ রঙ
রক্তজবার তাজা লালচে গোলাপী রঙ
পাঁকা জামের নীলাভ কালচে রঙ
শস্য ক্ষেতের পাঁকা ফসলের
সোনালী হলদে রঙ হবে?
হোলিতে মনের শরীরে রঙ মাখাতাম।
ছবি আঁকতাম,আলপনা আঁকতাম,
আর এই যে, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া স্বপ্ন গুলোতে
রঙ ছিটিয়ে একটু জীবন্ত রূপ দিতাম।
আচ্ছা তোমার কাছে একটা খাঁচা হবে?
খুব সূক্ষ্ম স্বচ্ছ মসৃণ নিঁখুত বিশ্বস্ত খাঁচা
যে খাঁচায় আমার ভয়, হতাশা, একাকীত্ব
দুর্দিনের রাতে দুর্বিষহ যত সব দুঃস্বপ্ন
আমি নির্ভয়ে নিঃসংকোচে
দিতাম রেখে বন্দি করে।
আচ্ছা তোমার কাছে অর্জুনের গাণ্ডীব হবে?
আমার ব্যর্থতা সকল, কলঙ্ক আছে যত
দিতাম ছুড়ে স্বর্গের ওপারে মহাসমুদ্রে।
একটা দুরন্ত বর্ষাকাল হবে?
নির্ভীক বৃষ্টিতে সকল ক্রোধ,অহংকার
হানাহানি, খুনোখুনি,চুলোচুলি
আছে যত দাম্ভিকতা,
আছে যত দ্বেষ, হিংসা-প্রতিহিংসা
দিতাম ভাসিয়ে সব গঙ্গা গায়েত্রীর বুকে।
মায়া-মমতা,স্নেহ-ভালোবাসা
বিবেক মনুষত্ব মানবিকতা হবে?
ঘুড়ি বানিয়ে হৃদয় আঙ্গিনায়
দিতাম উড়িয়ে; হিন্দু,বৈদ্ধ,মুসলিম, খ্রিষ্টে-
গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ,হেমন্ত,শীত ও বসন্তে।
একটা কৈলাস ঝর্ণাধারা হবে?
একটা স্বর্গীয় স্নান দিতাম
যে স্নানে শরীরময় সত্য সুন্দর
স্নিগ্ধ সুবাস ছড়াবে
পৃথিবীময় শরীরে শরীরে
পবিত্রতা পুলকিত হাসি হাসবে
সোনায় নিমজ্জিত সত্য আলিঙ্গনে
স্পর্শ পেতে স্বর্গ নেমে আসবে।