জননী গো-
চোখ দু’টি তোর, অবিরাম অশ্রু ঝড়ে,
ভরা গাঙ, মাঠ-ঘাট, রক্তের জোয়ারে।
আমি অ-দূরে-
বন্ধ ঘরে
বসে জানালার ধারে।


বেদনার বিষে জ্বলা ময় প্রাণ
সব হতাশার মেঘে ভরা বান
নয়ন তারার জল-
করে টল মল,
মৃত্যুর মিছিলে এলোমেলো ভাবনা গুলো;
স্বাধীনতা বুঝি হারিয়ে গেলো।
স্বা-ধী-ন-তা বুঝি হারিয়ে গেলো।


নিশ্বাস আসে যায় এই ক্ষণ ধরি-
বাহান্ন-নিপিড়ণ ভাবনায় পড়ি,
আমি পণ করি,
আমি অস্ত্র ধরি
মুক্তির দাব-দাহ প্রাণে আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি-
আমি যোদ্ধা, সশস্ত্র সংগ্রামে যুদ্ধ করি।


আমি বিদ্রোহী বলে বলিয়ান,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে জাগি অশান্ত সমুদ্র তালে;
আমি নির্ভীক-আমি নির্দয়, আমি অগ্নি-তুফান;
ধিকি ধিকি জ্বলে উঠি তরুণের-মশালে।


আমি গতিশীল মুক্তির তলোয়ার ;
নাই থাক আর কোন রাজাকার,
না-ই থাক যেন আর স্বৈরাচার;
নাই থাক অধিকার,
অধিকার অধিকার-
পোষা বিড়ালের নত হুংকার।


এসো অগ্রের পথে তুলি পাল
গেয়ে যাই সাম্যের জয় গান;
নিমেষেই এঁকে দেই রক্ত সকাল
হয়ে যাই বাঙালি মহা-প্রাণ।


আমরা সে স্বাধিকার চেতনা,
আমরা এ বাংলার, ’মুক্ত সেনা’
আমি সেই বাঙালি রণ-বীর,
আমি অতন্দ্র প্রহরী এই মুক্ত মাটির;
আমি ভব-ঘুরে,
হাজার বছর ধরে-
আত্মার সুরে-স্বরে
বিজয়ের গান ধরা মুসাফির;
আমি অনাদরে কি না-
তবে এই মাটি চষা কিষাণ জনা,
আমি মানছি না।
কভু মান’ব না-
“বাংলার মসনদে শোভা পাক
শোষণের হুকুম জারি।”
- আগামীর কাণ্ডারী।
আমি আগামীর কাণ্ডারী।