হে শ্রমিক, হে মজুর, রে তরুণ,
ওরে নিদারুন-
ঝরের বেগে বেগবান যুগের অতন্ত্র প্রহরী !
এসো বিদ্রোহ করি;


এসো ভূবনের দুয়ারে দুয়ারে,
তরুণের পথ পাথেয় করে-
জ্বলে উঠি তারুণ্য ফোয়ারে।
এসো ঘাতে অপঘাতে প্রতিবাদ ঝরে
বেঁজে উঠি ঝঞ্ঝার মতো
জোর আছে যত
তরুণ কণ্ঠ স্বরে।
এসো বিদ্রোহ করি অধিকারে অধিকারে।


এসো বিদ্রোহ করি-ঐ নীতি দলে,
ছায়াময় যে নীতির ছায়াতলে,
নীতিহীনতারা লম্বা শিকড় গজে,
বসে আছে নীতিবান সেজে
নীতিহীনতার ভিত শক্ত করি,
এসো বিদ্রোহ করি।


এসো বিদ্রোহ করি-ঐ দৈন্যের আবরনে।
যেথা দুঃখীদের আর্তনাদ বেঁধে রেখে কাঁফনে;
যত গুরু মহাশয়-
দু’হাতে ঐশর্য্য কুড়ায়।
এসো বিদ্রোহ করি ঐ পাষন্ডদের ঘিরে
যারা সেবকের মুখস পড়ে
দয়াবান সেজে বসে আছে বুভুক্ষু মনে,
অন্যের পকেটের পানে নির্লজ্য নয়নে
চেয়ে থাকা ঐ মোড়লদের ঘিরে ;
এসো বিদ্রোহ গড়ি ঐ মনিবের শিবিরে।
দেবতার আসনে বসায়ে যারে-
সালাম ঠুকিছে সদা শ্রমিক-মুজুরে।
সেই মুরক্ষ দেবতারা আজি-
দূরদান্ত বাটপার সাজি
শ্রমিকের রক্ত ঝড়া ঘামে,
কিনে নিয়ে আল্প দামে,
মজুরী দিতে গিয়ে ফের করে চুরি


এসো বিদ্রোহ গড়ি,
ঐ শোষকের প্রাসাদ ঘিরে
নির্দয় নিষ্ঠুরতায় ভরি
গড়ে উঠা ঐ দুঃশাসনের পাষাণ প্রাচিরে !
শত ক্রান্তির প্রহরে-
যে প্রাচির ভেদ করে-
জালিমের কানে পৌঁছেনা কখনো
নিপিরিত, নিরন্ন-
মানুষের হাহাকার,
অনাকাংখিত কোন মৃত্যুর চিৎকার !
কখনো-পৌছেনি
কোন বেদনার্ত হৃদয়ের কান্নার ধ্বনি।
পথে প্রান্তরে
প্রিয় হারাবার বেদনা ভরে
রক্ত মাখা লাশের পাশে করা
কোন স্বজনের আহাজারী
এসো বিদ্রোহ করি।


এসো বিদ্রোহ করি,
খন্তা-পাসুন-কোদাল ছেড়ে,
হাতে হাত ধরে,
কাধে কাধ মিলে প্রতিবাদ করি,
এ ভূবন জুড়ে-
বিদ্ধংসী অগ্নী বর্শা ছুড়ে,
যারা কেড়ে নেয় প্রাণ
মানুষ রূপে ওরা বেমানান
ওরা অমানুষের দল
রক্ত চোষা ওরা খুনী সকল,
এসো দলে দলে
বিদ্রোহী তালে
ঐ পাজিদের শক্ত শিকড়ে
নাগ বিষে দংসন করে
ধ্বংসের গুয়াল শূন্য করি,
এসো বিদ্রোহ গড়ি
এসো বিদ্রোহ করি আবার;
নিতে হবে আপনার সব অধিকার।