বাংলার আমি মহাবীর,
আমি এক মহা খেলোয়ার ;
আমি দূরন্ত দৃষ্টির-
এক গতিশীল তলোয়ার।


আমি মহাধ্বংসের-
বিষ দংশের-
এক মহা প্রতিশেধক ;
কেটে দেব শির -
যদি দেখি ফির-
বাংলার বুকে সেই প্রতারক।


যদি দেখি সেই রক্ত খোর’কে-
করে দেব ওরে কুপোকাত ;
থেমে যাবে কলকল চোখে-
হেয়ালীর রোসে গড়া উৎপাত।


নিভে যাবে অনাচার শত,
নিপীড়ন, দম্ভ যত,
ভেঙ্গে হবে সব খান খান ;
বাংলার মায়া বুকে-
প্রলয় অনল চোখে-
মুঠে শান্তির ব্রত অভিযান।


আর ঝরবেনা আঁখি জল,
স্বজ্জ্বল দ্রুততম দর্শন সয়োরী;
স্বদেশ প্রেমের দল-
উদয়ন, বাংলার অতন্দ্র প্রহরী।


ঝেঁকে ঝেঁকে ঝাঁঝরিতে-
ঝেরে ফেলে মৃতে-
বেছে নিয়ে অগ্রের কান্ডারী ;
ধেয়ে যাব ঝরে-
ঝরে যাব ডরে-
করবোনা পথ ভারী।


রাখবোনা আর বাংলার কোলে
কালো আঁধারের আবরন ;
শত শহীদের স্বপ্নদলে
এঁকে দেব স্বাধীকার স্বপন।


ধমাধম গম গমে-
দম দম উদ্দ্যমে-
উড়ায়ে শান্তির নিশান ;
দেখে দেব বাংলায়-
লাল-সবুজ পতাকায়-
দূর্জয় আজো আছে অম্লান।


হিমেল আবেগালয়ে-
আজো সে যে অবিনাশী ;
আজো উৎসুক জয়ে-
ওরা আজো আছে উল্লাসী।


আছে দৃঢ় বিশ্বাস-
কেড়ে নিলে নিশ্বাস-
পুড়ে হবি তোরা ছার-খার ;
চটে যাবে মোর-
বিদ্রোহী দোসর-
অনিবার দামালেরা বাংলার।


সদা জাগ্রত ওরা, মাতাল
হয়েছে-রে সবে ;
ঝেরে নেবে ঝাল-
আকাল ‘মুক্তির উৎসবে’।


যায় যাবে প্রাণ-
গেয়ে যাবে গান-
বয়ে দেবে রক্তের ঢল ;
করবে না ভয়-
‘যদি বলি জয়-
মুক্তি সেনা দল।’
“জয় মুক্তি সেনা দল”।
- বজ্রধ্বনী