তুমি এসো তবে-এসো ব্রহ্মপুত্র ভাঙনের খেলা ঘরে।
এসো দেখে যাও জীবন-প্রকৃতি-বেঁচে থাকা বড় চরে,
দেখে যাও সেথা বালি আর মানুষের কি নিবিড় বন্ধন,
তীর ধসে পড়ে পাড়ের আঁচলে গড়ে তোলে আবাসন।


আগ্রাসী নদী নিত্য যেথায় হানে ছন্ন-ছাড়ার যাতন,
আউড়ে দু’জন সাম্যে উড়ায় সবুজ পাতার কেতন।


নিয়ত সেথায় জীবনের ধারে দিগন্ত বেয়ে আনত;
কাদা মাখা পথ পায়ের স্পর্শে হয়ে যেত বড় ক্লান্ত।
বাঁচার আকুতি, রোদে পোড়া মুখ মলিন হাসিতে ভরে
দরিয়া ছেড়ে গড়ে তোলে ভিত সাদা মানিকের আসরে।


সন্ধ্যা যখন রাতের আঁধারে মেলছে নীরব বিতান,
ঘাসের ডগায় বসে উল্লাসে মাতে পতঙ্গ ধরে গান।
দিন কাটে হায় ক্ষেতে-খামারে ফসলের আলিঙ্গনে,
ঘুম ভেঙ্গে যায় রাশি রাশি ঢেউয়ের বুক ফাটা গর্জনে।


দূর হতে খুঁজি প্রাণের পড়শী নয়নাভিরাম সে বিকাল
ধু-ধু-বালি চর, সাদা কাশ বন, রাখালিয়া-গরু পাল।


বরষার ঢলে উছল নদী জলে হয়ে গেছে সব একাকার,
ইঁদুরের সাথে কাটে দিন-ক্ষণ ভুলে থেকে নিদ্রা-আহার।
শ্যাওলার মত বেঁচে আছে ওরা ভাদরের বানভাসি,
ওরাই মানুষ, তোমরা তো ভাই ভিন্ন গ্রহের বাসী।
#