হে বীর!
যত উন্নত তব শীর,
ততই যাতনা সম
দুর্যোগ তম,
আজি দুর্দিন মম ধরিত্রীর।


হে বীর-
উন্নত তোর শীর-
তোর সমোর সম্রাজ্ঞী সবি উন্নত বলে
খেয়ালের বসে রণ ঝংকার তুলে;
জীবনের পদে পদে ভূবনের পারে
দম্ভের অমোঘ আধারে
জ্বলে উঠে ক্ষুধা ময়-
সম্ভোগ আর মৃত্যুর ভয়।


তুই লালায়িত ভুখা
নিরলস তোর লালসার লেলিহান শিখা,
তোর ক্ষমতার দাপটে
অবলিলায় অপকটে
ভরে দাও অন্যায়, ভরে দাও অনাচার !
আবার-
তেজস্বী অগ্নী বাণে,
হানিছ আঘাত বীর দর্পণে!


তুই নির্দয়, তুই নিষ্ঠুর
তুই বলবান, ওসুর-
তুই শিকারের খোজে উড়ে চলা বাজ
তুই বিষধর নাগরাজ
বিষে ভরা তোর বিষাক্ত ছোবলে,
দুর্ভোগ ভোগে যত দুর্বলে,
ওরা করে হাহাকার,
তুই দাম্ভিক তুই অনিবার,
তোর নিপিরন, তোর দুঃসহ যাতনা
কখনো তো কোন বাঁধা মানে না।


তোর যাতনায় দুখীদের বুক ভাসে,
সেই ক্ষণ কাটে তোর মোহ-উল্লাসে।
তবুও নীতির আবরণে তুই কল্যাণী,
জানি, আমি জানি
তোর নেশা কল্যাণে নয়,
তোর নেশা বীরত্ব বিজয়।


স্বর্থের প্রয়োজনে তুই সারা বেলা,
ধ্বংস জজ্ঞে খেলে যাস হাসি খেলা.
রণ সাজে সজ্জিত তুই বলবান,
তুই ক্ষমতাধর খুনী, তুই পাষাণ,
ওরে তোর পাথর অন্তরে,
কখনো কি মায়া মমতারা ঠাঁই গড়ে ?
কখনো কি তাজা রক্তের ঢল-
দুঃখীদের দুঃখ ভরা নয়নের জল,
জাগিয়া তোলে তোমার মর্ম ব্যথা,
স্নেহ ভরে কখনো কি ভেবেছিলে ঐ অনুজের কথা,
তুই বীর কি-সে ?
অনাচার ? অবিচার ? ধ্বংসে ?
তোর উন্নত শীরে-
আজি কে বলিবে তোরে,
তুই বীর !
তুই কলঙ্ক ধরিত্রীর।