নিশাড় রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাইরে এসে দেখি-কী,
বজ্র ধ্বনিতে গর্জে গর্জে আকাশে উড়িছে ফুলকি।
দামালেরা বুঝি উড়াল মেঘেতে বাঁধিছে আপনা পরান।
বিজলী আলোর মশাল জ্বেলেছে, ধেয়ে আসিছে গড়ান,


আমি চিনি শোন ঐ চিৎকার ধ্বনি, চিনি যেন সেই কণ্ঠস্বর,
বীরের মসানে বাজি ঝন ঝনে জানান দিতেছে বৈশাখী ঝড়।
থামবে না বুঝি ঝড়ের মিছিল, ওরা মানবে না কোন মানা,
আকাশ বাতাস সাবাড় করিয়া আজ ধরা পাতে দেবে হানা।


ছিরে ফেলে দেবে শাখা-শির সবি মুখ পানে যা আসিবে,
তরু-লতা-পাতা, ফসলের বন সব মুসরে মুসরে পাসিবে।
জেগেছে দামাল হয়েছে উতাল, শন শনে বহি-ছে পবন,
ঝরের আঘাতে বলবে যে কথা আনবে ডেকে ভরা প্লাবন।


ভেঙ্গে দেবে মোর ঘরের খুটি সব, হয় যদি সে নর-বরে,
অনাচারী তোর বাঁধন বিহীন চাল নিয়ে যাবে আজ উড়ে।
ধরাম ধরাম ধাপড়া পায়ে দামালেরা চলে জোর কদম,
থর থর করে কেঁপে উঠে সবে চৌ-দি-কী ভয়ে থম-থম।


ফাগুন বাহনে নিঠুর পবানে ধুলি উড়ে যাস ঝাঁকে ঝাঁকে,
পথে পথে ঘুরি দেখি ব্যথা ভরি পাতারা ভুগিছে শাখে শাখে।
ঝড়ের গতিতে ঝর-ঝরে ঝরে দামালেরা নয় এত গোদলা,
বৈশাখী রোষে ঠিক ঠিক এসে দেবে ধুয়ে তোর নেবে বদলা।