হে কবি, কাব্য হতিয়ার ! করিছে তোমায় সাহসী,
ভাবুক তুমি, বিজ্ঞ-জ্ঞানী, তত্ব জ্ঞানে গুরুগম্ভির ঋষি;
কাব্য তোমার আসমান হতে আহরিত যত বাণী,
অজস্র সত্য, বিশুদ্ধ আত্নায় স্নাত জগতের কল্যাণী।


ছন্দে ছন্দে বুনে যাও তুমি সুধাময় কাব্য রসে-
রন্ধ্রে রন্ধ্রে মায়া ঝরানো মমতার আলত পরশে,
স্বপ্ন সলিলে জেগে তোল যত জগৎ ভোলা প্রাণ;
দিকে দিকে ভাসে ‘মনুস্য অবতার’ মৌ মৌ সু-ঘ্রাণ।


ক্রোধের অগ্নী দাহ্য, দিব্য দ্রোহের কূলে অগ্নি মুর্ত প্রায়,
উত্তাপে ভরা উত্তাপ, উত্তপ্ত করে সদা উত্তাপ ছড়িয়ে যায়।
মনের আকাশে দৃষ্টি মেলে ভাবুক কবি বিষাদ কাব্য ধ্যানে,
সবার চোখের পর্দা উঠে-ধরার কবি স্লোক বাঁধে পরিত্রাণে।


ভোরের আকাশে রোদেলা সূর্য্য আলোকিত করে ত্রী-ভূবন,
দেখে নাই সে, সমুদ্র জলের কত ঢেউ সবে জন্মিল কখন ?
কত কাল কেটেগেছে তার, আরও কত অকুলের পথ চলিতে,
জেগেছে কী ভোরে, আকুল পিয়াসে পাখিদের কল-কাকলীতে।


ছন্দের দোলায় উড়ে চলে প্রেম কাব্যের অসীম নীলে,
সাত রঙে রাঙ্গা রসাল বদন, দৈব্য দৃষ্টি কাব্য দৃষ্টিতে মেলে।
কত সতেজ সাজে গড়ে উঠে নতুন, নুতন নুতন সভ্যতা-
ভরে তোলে কাব্য জ্ঞানে ব্যবচ্ছেদ করে বিবেকের বদান্যতা।