কলমের আঁচড়


হে বিদ্বান !
কালের খেয়ায় চরে
বিবর্তনের বিদ্রæপ প্রহরে
আজি ভ‚বনের যত জীবাস্ব প্রাণ
অগ্রের যাত্রায়
সপিয়াছে তোমায়
শাশ্বত সুশীল সম্মান।


এতটুকু মানো ;
তোমার কলমের কালি-
যদি নাই রাখে সভ্যের মান;
কলঙ্ক রেখায় গড়ে উঠে শত সংঘাত-হলি,
ক্ষত-বিক্ষত করে মহাপ্রাণ।


আশাহত যত-
দৃষ্টির অগোচরে ঝরে যায় অবিরত।
নুয়ে পড়ে অন্ধকার জগতে-
দিশাহীন পথে-
যেতে যেতে হাটি হাটি পায়
শ্রাবন ধারায়-
কাঁদে অসহায় ;


হে মহা-জ্ঞানি
ক্ষুধাময় এ বিশ্ব চরাচর খানি।
প্রশান্তির মহা প্লাবন রসে
প্রাচুর্য, মোহ, তোষে
তৃপ্তির তৃষায়, প্রাপ্তির অবগাহনে
লালায়িত করে সদা অতৃপ্ত মনে
লালসার এই পথপারে
জীবনের অদম্য প্রহরে
দৈন্যের কবলে
ঐস্বর্জ মোহে, ভুলে, টলে
কারো হুংকারে,
তোমার কলমের আঁচড়ে
¤øান করোনা।
নিত্য যে সে দিতে পারে শত লাঞ্চনা।


হতে পারে নির্দয় প্রহসন,
নিরব যাতন।
কখনো বা মৌন ভ্রæম-এ
লোহার শিকলে বেধেঁ ফেলে উদ্দ্যম-এ।
আকাশের পানে স্বপ্নের ডানা মেলে-
বেগে চলা সবুজ ডালে-
মুসরে ফেলে,
করে তুলে স্বপ্নবিহীন।
খর রোদ্দুরে অঙ্কুর জ্বলে ছায়াহীন !


নিভে যাবে সোনালী আলো;
জমাট বাঁধানো মেঘের কালো
ছেয়ে যায় দেশে দেশে
কলমের নিশ্বরিত বিষাক্ত রসে-
ছল ছল চোখে
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে
কত শক্তিধর-
নির্জীব কলমে আঁচড়।