হে মন !
তুমি নির্দয়, নিষ্ঠুর কোন ক্ষণ।
তুমি কোমল !
শিশির বিন্দু জল,
তুমি বৈশাখী ঘন মেঘ !
তুমি বাতাসের গতি বেগ !
কখনো বা ধুলোর কুন্ডলী তুমি
তোমায় চিনেছি আমি।


তুমি পরশ পাথরের মত পরশে পরশে,
মহিমান্বিত, ভিতু, আনন্দ-ত্রাসে,
বহু রূপ ধরে
জীবনে ভর করে,
আপনারে কর বিকাশ !
জীবন পদ্ম ফুল, তুমি তার সুবাস।
তোমারী সৌরভে সুরভিত জীবন
তোমারী যাতনে জাগে শিহরণ,
হৃদয়ের স্পন্দন যায় থামি
চিনেছি তোমায় আমি।


তোমারে দেখেছি আমি মায়ের প্রাণে;
আদর-সোহাগে ভরে আপন সন্তানে
অন্ন দিতেছ তুলি,
তুমি অনাহারী, সে ক্ষুধার জ্বালা ভুলি।
সেই তুমি শ্মশান কালীর জীবন ঘিরে
রক্ত নেশায় রক্তের খেলা করে
সেজেছিলে রক্ত কামী;
চিনেছি তোমায় আমি।


তুমি জীবন চলার পথ রচয়িতা,
তুমি অভিনেতা,
এ জীবন রঙ্গমঞ্চে তুমি কর অভিনয়
জয়-পরাজয়,
মোহ-মহিয়ান,
সব তোমারই প্রতিদান।


তুমি মায়াবিনী হয়ে ঝড়াও আঁখি জল,
বীর বাহুতে তুমি বীরবল;
সেথা সিংহের মত হিংস্র সেজে,
কর্কশ গর্জনে গর্জে গর্জে-
ভয়, সংশয় সব মুছে ফেলে
প্রলয় আগুনে জ্বলে
শত্রু নিবারণে চালাও অভিযান,
অকুত ভয়ে তুমি অনির্বান।


চিনেছি তোমায় আমি,
চেনার তো বাকি নাই আর
নিরালায় নিরাকার তুমি,
জীবনের কর্ণধার।
-বজ্রধ্বনী