মস্ত শহরে-
রাত্রির ঘন-ঘটা ঘিরে;
চিন্তায় চিন্তায়, ভাবনায় ভাবনায়,
কাটে না সময়,
একাকি
বসে থাকি,
বড় দুঃশ্চিন্তায়-
বারে বারে মনে পড়ে
ছেলেটা এখনো ফেরেনি ঘরে।


এই বুঝি আসল খবর;
প্রতিবাদী ছেলেটা না কী নেশাখোর,
নিশিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গির দলে !
শহরের সেরা সন্ত্রাসী বলে-
কাল রাত্রির শেষ প্রহরে
তপ্ত সীসার আঁচড়ে
ঝাঝরা বুকে লাশ হয়ে আছে-
কোন ময়লা স্তুপের কাছে।


মেয়েকে নিয়ে আর বাঁচিনে
বাঁচিনে গো, লাজ-শরমে-আর বাঁচিনে
শিক্ষা গুরুর দৃষ্টিটা যদি হয় নীচে
বখাটে গুরুর দিক্ষাটা কি আর মিছে !
ওরা নিশ্চই মেয়েটার পথ আটকে ধরে
গলার ওরনাটা খুলে নেবে জোর করে।


বিভৎস সেই দৃশ্যটা জনে জনে-
ভিডিও করে নিয়ে ভিডিও ফোনে।
ফোনে ফোনে অব-শেষে-
মোটা অংকের টাকা দাবী করে বসে।
যদি দিতে নাই চাস, প্রতিবাদ করতে যাস
কাল নির্ঘাত দেখতে পাবি মেয়েটার লাশ।
কোন জির্ণ ঘরের ভেতরে।
এলো-মেলো চুল আর ছেড়া কাপরে !


এক গুরু মেয়েদের পেট্রোল ঢেলে পুরে মারে।
অন্য গুরু আড়ালের সব কল-কব্জা নাড়ে।
ভয় হয়, বড় ভয় হয় গুরুদের চেলা-চপ্পরে
মেয়েটা যে কোন গুরুর নজরে পড়ে।