মনোবীনা !
জীবনের তিক্ততা ঝেড়ে সুখের অভিলাসে
নির্ভয়ে পাড়ি দিতে চেয়ে জীবন আবেশে
মনের অজান্তে কবে কোন ক্ষনে
তোমায় সাথী ভেবে স্বপ্নের জাল বুনে বুনে
স্বপ্নের নীড় গড়েছিলেম আমার হৃদয় মন্দিরে
কখনো বলিনি তা তোমায় বলি বলি করে।


একদা ভরা বঢ়ষার বারিধারা বিকেলে
কী জানি কি ভেবে তুিম এসেছিলে-
তোমার পথ চেয়ে আমি বসে থাকি যেথা;
সে দিন তোমায় শুনাতে চেয়ে সে প্রেমের কথা;
রিক্ত মনে বিতীর্ণ প্রেমের পরশ মাখি-
তোমার বদ্ধ মনের দুয়ারে কড়াঘাত করে দেখি-
সেথা একা নও তুমি, তুমি নও একা !
তোমার ছোট্ট হৃদয় মাঝে একটি ছবি আঁকা !
সে তো আমি নই, অন্য কেহ, অন্য কোন একজন।
যাকে ঘিরে তোমার নিরঙ্কুষ মন-
পূজা করে প্রতিক্ষণ, নিরঞ্জন পূজারিনী হয়ে,
তাই দেখে অনাকাঙ্খিত বেদনা হৃদয়ে লয়ে-
ফিরে এলাম আমি, সেই বিষণ্ন জীবনের পাড়ে;
সেথায় রেখে এলাম শীর্ণ করে-
আমার পদচিহ্ন খানি গোপনে;
তোমার সোভাসিত মনের কোন এক কোণে।


যা দেখে কোন এক দিন বুঝিতে পার তুমি-
কিছু চাইতে এসে ফিরে গেলাম আমি
তোমার বদ্ধ মনের দুয়ারে হতে;
সে দিন ব্যথা ভরা চিত্তে-
আমার আঁধার ভূবন দেখে
অবাক চোখে, চোখে চোখ রেখে
দু’চোখ জলে ভরে তুলোনা।
                -মনোবীনা।