স্বপ্ন তুমি ছুঁয়ো না গো আর আমায় অমাবস্যা মনে-
আমি নিরাশ হয়েছি উদাস মনে চাহি নির্ঘুম নয়নে।
ভেঙ্গে দিতে যেয়ে পাখার পালকে বিমত ছল করে,
বিপাকে ফেলেছে পরশি আলো শিশির হাসে ভোরে।


স্বপ্নময়ী চাহিলে আসিয়া যার ভাষা বোঝা বড় দায়,
কাননে কাননে স্বপন মাখিছে বিবাগী পাতায় পাতায়।
ডাকিয়া কহিলে এসো হে মম প্রজাপতি সম উড়ে চলি,
হৃদয় ভাসায়ে বাতাসের ঢলে সুরভিত প্রেম কথা বলি।


সহাস্যে খুলিনু ভাবনার দুয়ার তারে সমাদরে নেই ডাকি
শুন্য হিয়ায় গাঁথি কথা মালা তাকে তখনি ঝড়িতে থাকি।
রিক্ত মনে বাজে নাই মধু-সুর যেন বাজিয়েছি পাতার বাঁশি
তাতেই কেঁপে উঠে কি প্রাণ আজি তাই ভেবে হাসা হাসি।


শোভাময় শাখে আরো শোভাময় ভরে তোলে স্বপ্ন মুকুল,
দিনে দিনে শোভা বাড়ে পাতার সংসারে কলী ফোটে ফুল।
নিয়তি নিঠুর সবুজ পাতা রং বদলায়, পাপরীরা ঝরে যায়,
আঁধারে ঢাকে সূর্যের আলো, নিশিত মাতে সন্ধ্যা খেলায়।


হায় ! গেল হয়ে শেষ সবি যেন বিদায়ের এলো পালা,
দোয়ারে বুঝি দাঁড়ায়েছে আসি নেবার পালকি ওয়ালা।
বিকেল গড়িয়ে রাতের আকরে গেছে পড়ে ভাটা দিনের,
রক্ত মাখানো উরে চলা মেঘে দেখি যেন শেষের কিনের।


সন্ধ্যার সবুজ আঁচলে সদ্য ফুটিলে রজনী গন্ধার প্রভা,
মলিন হ’লে আলোক তবে ফুরলো দিনের সকল শোভা।
ময়ুর পঙ্খি রাত পেখম মেলেছে বেড়েই চলেছে জোয়ার,
ধুনি তটে বসে ঘাসেরে লটে খুজি সেই শেষের দোয়ার।


বৈশাখী মেঘ কালো রক্তের আঁধারে মুক্ত শরীরে ছোটে,
বনে তটের পালকি নেমেছে তাতে বেহালা পবন জোটে।
নিঝুম কান্তে নিরবে বসে হেন পায় যদি কোন মন সুখ,
যদি মুছে যায় হৃদয় পোড়ান হারান বিরহ-বেদন-দুখ।