হে দামাল, ওরে
চেয়ে দেখ, চেয়ে দেখ ঐ ন্যাশানাল রাস্তার ধারে-
বুলেটের আঘাতে  ক্ষত বিক্ষত হয়ে
পড়ে আছে নিঃপ্রাণ দেহ খানি;
রক্তে ভেজা মাটিতে বসে হতভাগী জননী-
মাথা ঠুঁকে ঠুঁকে  ক্রন্দিছে আকাশ কাঁপানো চিৎকারে
তোরা কি শান্তনা দেবে আজি তাঁরে ।


বাহান্নে তো বলেছিলে,
মাগো, তোর দামাল ছেলে-
সহিতে পারেনি তোর কন্ঠ ধ্বনির অবমান,
ওরা তাই কেড়ে নিল প্রাণ ।


একাত্তুরে হারাধনের রক্তে আঁকা
সবুজের মাঝে লাল সূর্যের পতাকা
দিয়ে উহপার,
মিনতি করে বলেছিলে বার বার,
খোকা হারা শোকে তুই কাঁদিসনে মা আর।
দেখেছিস তো
শোষণের বেড়াজাল বুনেছিল হায়নারা;
স্বাধীন চেতা তোর বীর সন্তানেরা-
বজ্র মুষ্টি তুলি
বিদ্রোহী সেজে সকলি
গেয়েছিলো মুক্তির গান;
চিল-শকুনেরা তাই কেড়ে নিলো প্রাণ ।
সেদিন কাঁদেনি আর ঐ দুঃখিনী ।


আজ আবার কোন রাবণের কবলে পড়ে-
ঐ মাঠে ময়দানে, ঐ পথের ধারে,
ঐ ক্যাম্পাস ঘিরে, হারাধন হারানোর
বেদনায় ঝড়ায় সে আঁিখ জল।
ওরে নাজাতের দল,
বল, তোরাই বল,
এমনি করে-
আর কত, আর কত হারাধনের রক্তে নেশা করে-
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের মত;
আর কত-
আর কত কাঁদাতে চাস ঐ দুঃখিনীরে।
                      - সংকেত