জীবনের খেলা শেষে বৃদ্ধা জননী
দাঁড়ায়েছে মৃত্যুর দুয়ারে,
প্রিয় পরিজন জমাইছে ভির
শয্যাশায়ীর শিয়রে।
ক্লান্ত পথিক সে যেন আজ
নিতে চায় চির বিদায়,
সবার দৃষ্টি ঝুলিয়া পরেছে তায়
কংকালসার দেহ খানায়।


টলমল আঁখি, রুদ্ধ কন্ঠ,
সকল মনে শোকের আল্পনা,
এই বুঝি বাজিয়া উঠিল
চির বিদাযের বীণা ।


দূর থেকে আমি দেখি শুধু মাকে
ভিরিতে পারিনা কাছে,
অজানা আসকায় মন যে আমার
দিশেহারা হয়ে আছে।
সহসা দেখিনু শিয়রে বসি কে-বা
সোনার বাঁমচে করি,
শেষ জলটুকু খাওয়াতে চাহি
মুখে দিল জল ভরি।
গিলিলনা সে জল মা আমার
পরিল তা গাল বয়ে বয়ে
তাই না দেখে সবার হৃদয়
কাঁপিয়া উঠিল ভয়ে।


ব্যকুল মনে ছোট বুবু তখন
মুখের উপরে ঝুকি,
ডাকিয়া কহে মাগো, আঁখি মেলে দেখ,
এসেছে তোমার খুকি।
ডাক শোনেনা মা, চেয়ে দেখেনা,
কহিতে পারে না কথা,
মনের মুকুর মুছরিয়া তখন
উথলিয়া উঠে ব্যথা।
ক্রন্দনী সুর চাপা থাকেনা আর
বাঁধ মানেনা আঁখিজল,
চৌচির হতে ঢলিয়া পরিল
ঘন আধাঁরের ঢল।
রুগ্ন বাতাসে ভেসে ভেসে আসে
সান্ধ্য আযানের ধ্বনি,
বুঝিতে পারিয়া কেবা জ্বালাইল ঘরে
পিতলের প্রদীপ খানি।  
সন্ধ্যার আঁধার মলিন হইল সেথা
প্রদীপের আলো জ্বেলে,
হৃদয়ের আঁধার ঘুচিলনা কারো
সেই আলোকের বলে।
-সংকেত