মনুষ্য তোমার স্বরূপ খুঁজিতে পেড়িয়েছ কতটা কাল,
ভোগ্য-বিলাসে হারিয়েছ দু’কুল সভ্যতা হয়েছে নাকাল।
উজার করেছ ধর্মের বারণ নিশেধ মাননি যে কেউ,
শুন্যে উড়ান নিয়তির পালে লেগেছে ধ্বংশের ঢেউ।
ক্লান্তির ঘায় উদাস দুপুরে শুকিয়ে এসেছে গলা,
বয়সের ভাড়ে হেলে পড়েছে আগামির পথ চলা।


মনুষ্য তোমার পিত্ত্ব রসে সু-দৃঢ় করিয়া গড়িতে;
পাষন্ডের মত করনিক ভয় রক্তনালিটি ছিড়িতে।
মহা-প্রাণের অলিক ভাবনায় মৃত্যুতে করেছ সন্ধ্যি,
প্রখর ধারার হৃদ-সঞ্চালনে করেছ খাঁচায় বন্দী।
আশার দুয়ারে জ্বেলেছ প্রদিপ জ্বালানীতে বিষ ঢালি,
বিভিশিকাময় আলক মেলায় আজ প্রাপ্তিটা গুরেবালি।


উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে চাহি মনুষ্য তোমার মান,
দিগন্তের পথে পদে পদে কত হানিয়াছ অগ্নি বান।
তারি শখা আজ ভয়াল গ্রাসে গ্রাসিয়া চলিছে তোমায়,
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে রুদ্র যে হাসে তাতে নাহি কিছু আসে যায়।
বাতাসে বাতাসে শুকে দেখনি সে প্রকৃতির ঝড়া ঘ্রাণ,
হেরিছ স্বপ্ন দিশাহীন পথে নিমেশে ঝরিছে প্রাণ।