একদিন প্রকৃতিটা পৃথ্বীময় ছিলো
রোদেলা পবনে’রা
চঞ্চলা-হাসি ভরা
এলোমেলো বাইতে যে র’লো।


মাঠে মাঠে ধান কাটে ব্যস্ত কৃষাণ
এতটুকু ছায়া তলে
বসে বসে জিরাইলে
ক্লান্তির দেহ টানে দে গড়ান।


পাখিদের সুর ধ্যাণে
দু’চোখের পাতা টেনে
জুড়ে দিয়ে পালকের জোড়া
নেচে নেচে যায় চলে
সবুজের মন টলে
ক্ষেতে ক্ষেত জাগরণী ওরা।


গরমের বড় জোর
দু’গাঁয়ের মাতব্বর
সবে এসে মাচা পেতে বসে;
মিলে দিয়ে দুই কর
কেউ কারো নস পর
শান্তির সু-বাতাস বয়ে যায় শালিসে।


কেড়ে নিলে সভ্যতা
ভেঙ্গে দিলে মধুময় সে মিলন;
সুস্মিতা-তুমি আজ
বিজলীর তারে বাঁধা বন্দী জীবন।