পৃথিবীর কোন এক কোণে-
বাসনার জলসা ঘিরি,
জন্ম লয়েছ কোন এক ক্ষণে
তুমি নর কিংবা নারী।


দেখি নাই তোমায় দেখবনা কভূও
স্মৃতির পাতায় অচেনা তবুও
জীবন সৈকতে
চলার পথে
আমি জানি;
তোমার চরণ ভূমি-
আমারই ফেলে আসা পথ খানি।


যে পথে বিচরণ করেছি আমি
অসকের জগতবাসী;
সেই গিরি পথ তোমার মাঝেও
রয়ে গেছে অবিনাশী।


সেই দিবস, সেই রজনী,
সেই মৃত্যু আজো ডাকে হাতছানি;
সেই সুখের স্বপ্ন মনের মুকুরে বুনে আল্পনা,
দুঃখ, দৈন্য, নাপাওয়ার ব্যথা
অবিরত ধরে বিষ ফণা।


সেই কামনায়, সেই বাসনায় পরেনিতো মরিচিকা,
ক্ষনিকের তরে সৌরভে ফুটে ঝরে গেছে শুধু মল্লিকা।
ক্ষণে আসা, ক্ষণে  যাওয়া;
ক্ষণিকের মাঝে যত চাওয়া পাওয়া,
ক্ষণিকের এ জগত নীলাকাশ যেন, শুধুই চরণ ভূমি,
কালের বিবর্তণে যেথা মেঘ হয়ে ভাসি আমিÑতুমি ।
কালÑধল কত মেঘ আসে আর ভেসে চলে যায়,
কোনদিন কভু লিখা হয়না তা নিলীমার গায়।
সেই বিভিষিকা আজ অন্তরে,
স্বকায়ায় তুমি দেখবেনা মোরে,
তাই লিখে রাখলাম এ কাব্য লিখা,
বেসুমারীর বুুকে এ আমার পদটিকা,
যা দেখে জানিতে পার তুমি যুগ যুগান্ত পরে,
মেঘের মতই এসেছিলাম আমি-
চলে গেছি মৃত্যুরে বরণ করে।
এই কাব্য খানি পড়ে বুঝে নিয় তুমি সেদিন,
কত চেনা তুমি, নও তো অচিন !
চন্দ্র- মঙ্গলেও হয় যদি গো তোমার নিবাস,
সেথা হতে  দুরে নই আমি, শুধু কালের বিনাস ।
জীবনের গতি পথ যেথায় হোক না যতই ব্যবধান,
তোমার আমার আদি পরিচয় সেথা রয়ে যাবে অম্লান ।
-সংকেত