আমার দেয়াল জুড়ে একটি প্রতিকী অবয়ব বিরাজ করছে
যেমনটি অন্ধকারে জোনাকি আলো ছড়ায়, ভোরের কুয়াশায় চিকচিক করে রোদ্দুর।


দুইযুগ আগের তোমার সেই চকিত চাহনীর বিকিরণ
গোলাপি ঠোঁটের কম্পন, রজনীবেনী পিঠ কিংবা বাদামি উষ্ণতা.....
সবটায় সেঁটে আছে আমার দেয়াল জুড়ে।


কতবার- তুমি, আমি কোমল জোৎস্নায় হেঁটে হেঁটে বিলিয়েছি অজস্র স্বপ্ন
মনের যুদ্ধে হারিয়ছি শরীরের তৃপ্ত বাসনা, আগুন উত্থান!
সেদিন অপরিনেয় আকাঙ্খা ধ্বংস করে পবিত্র সৃষ্টির বীজ বুনতে চেয়েছিলাম!
তাইতো! তোমার অশরীরি অস্তিত্ব প্রায়শই বুকে বুক স্পর্শ করে!
ক্লান্ত ইদ্রিয়গুলোকে নাড়িয়ে দেয় হলুদ-নীল রঙের চাদরে
আকাশের অতল স্বচ্ছতায় তুমি, মেঘের উপকূলেও তুমি,
একদিনতো, নগ্ন ভাস্কর্য ঢেকে সেখানটায় তোমাকে পরিয়ে দিয়েছিলাম লাল বেনারসি!


হয়তোবা কোনো একদিন আমার দেয়াল ভেঙে পড়বে,
হয়তো সেদিন তুমি মিশে যাবে কোন এক নদী কিংবা বৃক্ষের ছায়াতলে
মাতাল চন্ডাল কিংবা বিরহী কবি হয়ে আমিও একদিন বিলুপ্ত হবো।