যখন প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে হাঁটতাম কিংবা
কালভার্টের উপর দাঁড়িয়ে জলপ্রবাহের শব্দ খুঁজতাম
তখনি একদিন তুমি এসেছিলে যখন আমার দূরন্ত কৈশোর!
বুকের সমস্ত শৃঙ্খল ছিঁড়ে গিয়ে ভীষণ অসুখে পুড়েছি
আড়মোড়া অন্ধকারে লুকিয়ে মন থেকে পাড়ি দিতাম শরীরে
সংলগ্ন পথে বাইনোকুলারের চোখের মতো  আলোড়ন ছিলো
সেই চোখের গভীরে মেপে দেখেছি শুধুই তুমি, আর কেউ নেই
নিরন্ন মহাকালের ছায়ায় তোমার মুখ দেখে কেটে যায় ঘোর!
সে থেকেই অদ্যাবধি অন্তহীন নির্বাণে অবিরত স্বপ্নের বীজ বুনে চলেছি
গোধুলি বিকেলের সুতীব্র ঘ্রাণ গায়ে মেখে রক্তরঙা কৃষ্ণচূড়ার মতো
তোমার উজ্জ্বলতা আমাকে নামিয়ে দেয় প্রেমের বিস্তীর্ণ সমুদ্রে।
ইন্দ্রিয় অনুভূতির চুড়ায় চঞ্চলা বালিকার মতো তোমার উপস্থিতি
মৌনব্রত প্রার্থনায় প্রতিদিন, প্রতি মুহুর্তে তোমার নামটি জপি।