এখনো কি বিশ্বাস করছেন না
যমদূত আপনার ঘরেই দুয়ারেই হাঁটছে!


আপনার কি হিসাব আছে?
কত দ্রুতই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা!


আজ একশ!
কাল হয়তো একহাজার,
একহাজার থেকে এক লক্ষ ছড়াতে কতক্ষণ!
বলতে পারেন?


বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী দেশ
আমেরিকাও কি ভাবতে পেরেছিলো?
দেখছেন তো সেখানেও কত দ্রুত
চল্লিশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে!


এই যে ভাই!
আপনার বাজার লাগবে! সেরে আসুন
একটু নাহয় গল্প-সল্প  সারলেন!
বুঝতে পারছেন কি?
করোনাও আপনার সাথে একটু আধটু ভাব জমিয়ে নিয়েছে!
আপনার সাথে সেও লক্ষী ছেলের মতো
আপনার ঘরেই ঢুকে পড়েছে!


আপনি সমাজপ্রতি, আপনি সংগঠক
আপনি অনেক মহৎ কাজ করছেন, ত্রাণ দিচ্ছেন!
আপনাকে সাধুবাদ জানাই!
তবে ভাই, নিরাপদ দূরত্বে ছিলেন কি?
ছিলেন না তো! কি আর করবেন...
এইবার নাহয় যমদূতের সাথে কিছুক্ষণ লড়াই করুন!
দেখেন, যমদূত যদি কিছুটা ছাড় দেয়!


আপনার ত্রাণ লাগবে,
লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এক প্যাকেট ত্রাণ নিলেন-
বুঝতে পারছেন তো!
বেঁচে যাওয়ার বদলে মৃত্যু পদযাত্রায় আপনিও
একধাপ অগ্রসর হলেন!


আপনি হুজুরের জানাযায় দাঁড়ালেন-
ভাবছেন হুজুরের দোয়ায় বেঁচে যাবেন!


মুহ মতারাম! দিল্লির সাদ পন্থীরাও এমনটি ভেবেছিল!
ইতোমধ্যে তাঁদের কয়েকজন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন-
সে খবর এতক্ষণে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন!


কে যেনো বললেন!
লকডাউন শব্দটায় এখনো বুঝেননি!
আপনি বুঝেন নি তো কি হয়েছে?
তামাম পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ যে এখনো লক ডাউনেই আছে!


আর যারা বুঝেননি, তাঁদের বলছি-
ইতিমধ্যেই করোনা ছব্বিশ লক্ষ ছাড়িয়েছে!
মৃত্যু-এক লক্ষ সাতছট্টি হাজার প্রায়!


এখনো ভাবছেন আপনার কিচ্ছু হবেনা!
কাল থেকে লাশ গুনতে থাকুন,
আপনার লাশটাও হয়তো কেউ একজন গুনে  মাটিতে পুঁতে দেবে!
কিংবা হিসাবের বাইরে থেকে যাবে!


(এটি ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল রচিত কবিতা, কোভিড-১৯ 'র ভয়াল থাবা সর্বত্র বিরাজমান ছিলো)