লকডাউন মেনে চলুন
লকডাউন কোনো তামাসা নয়!
বিশ্বের তাবৎ শক্তিশালী দেশের দিকে চেয়ে দেখুন
তারাও কতটা অসহায় আজ!
আমেরিকা, ইতালি, ফান্স, স্পেন কিংবা ব্রিটেন!
অথচ দেখুন ওদের ডাক্তারগণ
মৃত্যুকে পরোয়া না করেই সেবা দিচ্ছে রোগীদের।
ওদের ভেন্টিলেটরের ঘাটতি নেই কিংবা হাসপাতাল
দেখুন,সেখানেও মৃত্যুর মিছিল।
হাজারে হাজারে মৃত্যু।
বেড়েই চলেছে জ্যামিতিক হারেই!
একবার তো ভাবুন আমাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু?
আমাদেরও তো বাঁচতে হবে,
আমরাও যে বাঁচতে চাই
তাই লকডাউন মেনে চলুন,
লকডাউন কোনো তামাসা নয়!
পাড়ার অলিতে গলিতে আড্ডা,
চায়ের দোকানের আড্ডাবাজি
প্লীজ বন্ধ করুন, লকডাউন মেনে চলুন।
আপনার বাজার প্রয়োজন,
সেরে নিন নিরাপদ দূরত্ব থেকেই
প্রয়োজনে একটু কম খাওয়া-দাওয়া করুন
তবুও লকডাউন মেনে চলুন,
লকডাউন কোনো তামাসা নয়!
দেখছেন তো আমাদের দেশেও কত দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে করোনা মহামারী
এখনো বুঝে উঠতে পারছেন নাতো!
আরো একটিবার বিশ্বের তাবৎ শক্তিশালী দেশের চেহারাগুলো দেখুন!
শুধু মৃত্যু আর হাহাকার!
ট্রাম্প, পুতিন, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ,বরিস জনসন
যারা এই পৃথিবীকে শাসন করছে
তারাও আজ কতটা অসহায়
জিওসেপ কোঁতে সেও তো আকাশের দিকে হাত তুলে আছেন!
লাশের স্তুপে ঢাকা পড়ছে পৃথিবীর সুরম্য শহর!
নিউইয়র্ক, রোম, বার্লিন কিংবা প্যারিস!
প্লিজ লকডাউন মানুন, লকডাউন কোনো তামাসা নয়!
একটিবার ভাবুনতো আপনার নিজের জীবনটায় কত মূল্যবান!
কিংবা আপনার পরিবার, স্বজন।
প্লিজ লকডাউন মানুন,
লকডাউনের বিকল্প আমাদের নেই
প্রয়োজনে সেদ্ধ চাল,আলুপোড়া খান,কিংবা
একবেলা খান একবেলা উপোস থাকুন।
তবুও লকডাউন মানুন।
প্লিজ লকডাউন মানুন!
লকডাউন কোনো তামাসা নয়,
বেঁচে থাকার মন্ত্রবাণ।


( কবিতাটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে করোনাকালের শুরুর দিকেই লিখা)