এই মাটির আস্বাদে মাঝেমধ্যে
শিশুর মতন হামাগুড়ি দিই
আঁতিপাঁতি করে ঘুরে বেড়ায়
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
পবনবেগে দ্বারস্থ হই এই মাটির শিয়রে,
আমার আত্মজার বুকে!


এই মাটির গান-প্রেম-মায়ায়,
অন্তরিক্ষে ডুবে যায় প্রতিদিন।
এখানে ঝর্ণাতলায় স্নান করি,
ইচ্ছেমতো ভেসে বেড়ায়।


তবুও যেনো আজ
এই মাটির ঋতুরুদ্ধদ্বারে
ছদ্মবেশী এক অন্ধকার!
ক্রমাগত বিস্তীর্ণ হতে থাকে
নব্য সামন্তপ্রভুর লম্বা হাত,
লীন হতে থাকে-
আধপোড়ানো মাটির বর্ণমালা।


এখানে এখন ক্রমান্বয়ে
ভস্মিভূত হতে থাকে কালপুরুষ
এবং আমাদের অবগাহন কাল!