বিশাল এক অরণ্যের মধ্যে দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি , সবুজ, হলুদ, বাদামী কত যে রংয়ের মিশেলে সুবিস্তীর্ণ পথ, ডানা ঝাপ্টায় বনপাখি, নিশব্দে হেঁটে যায় পোকামাকড়, পশুগুলোর সতর্ক পদক্ষেপ,যাত্রা অনিদির্ষ্ট, স্বপ্নের ভেতর দিয়ে চলে যাচ্ছি হয়তোবা অন্যকোনো গুহায়-মানবীসদৃস ঝিরঝিরে বাতাসের বুকজুড়ে।



কতগুলো অচেনা শব্দের ঘুঙুর বাজে, পরীরা নাচতে থাকে নীলরংয়ের হেরেমখানায়! পুষ্পরজ; এবং কামশাস্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন পাঠ চলে....
বৃষ্টিধারায় জন্মনেয় কাব্যবালিকা! দূর্বার বেগে ছুটে চলা শব্দগুলো কবিগণ লুটে নেয়।



অন্য এক ভূখণ্ডের বুকে আছড়ে পড়ি, অচেনা সভ্যতা, আদিম পোষাকে খেলছে ভিন্নতর নর-নারী,
পাখির মতো করে শব্দের ব্যবহার, ওখানে কোনো ক্লেদ নেই,জাগতিক ক্ষুধা নেই, আছে যৌবিক মন্ত্রবাণ!



স্বপ্ন ভেঙে গেলে ফিরে আসি চেনা পৃথিবীর নৈমিত্তিক কোলাহলে, এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জাগতিক ক্ষুধার অজস্র সামগ্রী! মতাদর্শ ও মৃত্যচিন্তা আমাকে নিয়ে যায় নরকের খুব কাছে।