আমার বয়স তখন আঠারো কী উনিশ,
তোমার গায়ে জড়ানো খয়েরী কামিজ-সিল্কী উড়না
ভেদ করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম
লাবণ্যময় মুখশ্রী, কিছুটা গোলাকৃতি মাংসের হরষে!


সেই কৈশোরকালে ত্রিভাঁজ করে বুক
পকেটে রেখেছিলাম
গোলাপের পাঁপড়িযুক্ত একখানা প্রেমপত্র!
চিঠিখানা সশব্দে বেঁচেছিলো একযুগেরও বেশি সময়,
অবশেষে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই উইপোকার উদরে!


কৈশোরকালেই আমাকে তাড়িয়ে বেড়াতো
অজস্র স্বপ্ন
কিভাবে বোতাম খুলে বুকে জাগাতে হয় উজ্জ্বল আলো,
কিভাবে প্রবেশ করতে হয় কুমারী নদীর গহ্বরে!


একটা সময় স্বপ্নগুলো মরে যায়, নিভে যায়
সমস্ত আলো,
তুমিও তখন মৃত- যেমনটি প্রাগৈতিহাসিক
যুগের প্রস্তর খন্ড!