মগজের সমস্ত বিভ্রান্তি দূরে সরিয়ে
পেপারনোটে সযত্নে লিখে ফেললাম তোমার নাম!


তখনো উন্মত্ত কীর্তিনাশায় জ্বলজ্বল করে
জ্বলছিলো তোমার দুটি চোখ!
সূর্যের লোলুপ দৃষ্টি এরিয়ে ঝড়ের বেগে
আমিও ছুটে গেলাম,
কুমারীর পবিত্র সত্তাকে রক্ষা করবো বলে!


পুনশ্চঃ গিয়ে বসলাম শতাব্দী পুরনো
বটবৃক্ষের ছায়ায়
বৃক্ষদেবী-কী সব বার্তা দিলো তা বুঝে ওঠার
আগেই মাথার উপর ঢলে পড়লো উত্তপ্ত সূর্য!
জটিল ঘূর্ণিপাকে-
মস্তিষ্কে পুনরায় ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলো!


এভাবেই কী তোমার অশরীরি আত্মার
বিচ্ছুরিত দেহ বল্লবী আমাকে গিলে খাবে?


আমিও যে হতে পারি ছদ্মবেশী পুরুষ!
কোনো একদিন তোমার আত্মায় ঢুকে যাবো
হেমলক হাতে!


চন্দনচর্চিত তোমার দেহখানি মিশে যাবে-
আমার সম্মুখে উড়ে যাওয়া বাতাসের দীর্ঘশ্বাসে।