ফুরসত ভুলে  আয়ুষ্কালে  জিয়ন্ত দহনের পারাপার,
মৃত্যু শিরোপা মস্তকে লই রহিয়া আজি বাইছি দাঁড়।
আমি নগ্ন মদ্যে মদ্যপ হইয়া ভগ্ন পরাণে আরশ ছুঁই,
পাষাণ রূপে নিজকে সঁপি গোর-শ্মশানে আত্মা নুই।


পুণ্য রেণুই বাজে মুরলী  রাঙিনি তাহা ছাড়িয়া দেশ,
কলুষ হস্তে জ্বলে অনুতাপ  অনিবার্যে সয়েছি ক্লেশ।
রণ-সমরের মরণদশায়  বিভোর যকৃৎ পাতিয়া বুক,
অজ্ঞানের মশাল জ্বালিয়া অধরা মোহে উড়াই সুখ।


নিরঞ্জনের বিকৃত-বর্ণ, সহস্র অভিলাষ করিয়া খুন,
বক্ষে ঢালি কুৎসা কালি এইহলো আজ শ্রেষ্ঠা গুণ।
গঞ্জনা সয়  বন্ধনে রোজ  মাদ্য শরাবের স্বর্গে বাস,
সিন্ধু বিনাশে সমাধি রচি লৌহনিগড়ে বিবেক নাশ।


নিরন্তরের ভগ্নহৃদয়ে  সজোরে বায়ুই ছিঁড়িয়া পাল,
ত্রিশূল হানিলে দূর্বল চিত্তে থরথর কাঁপে সর্বকাল।
চাইনা মুক্তি কুমারীর মতো চিত্তটা মোর ভাবপ্রবণ,
মরিই বাঁচি সাত জনম মোর নেশায় খুঁজি বৃন্দাবন।