জন্তু-বিহঙ্গের মতো কামনা ছিলো হয়তো আমিও হবো একদিন মুক্ত একটি প্রাণ,
আনন্দঘন মুহুর্তের নব উদ্যমীর অঙ্কুর বুনে দুঃখ অবলীলার অশনিসংকেত থেকে বিমুখ হতে।

শেষ কোন এক সূর্যপত্নীর অন্তরঙ্গে ডিম্বাণু-শুক্রাণুর
লক্ষ ভেদে নাগাল পাই দীপ্তির এক বিলাস ভূমি,
অস্থি-মজ্জায় পূর্ণ প্রাণে চেয়েছি একাধিক, সীমাহীন অভিপ্রায়ে অবনীর অমৃত রসে তৃপ্ত হতে নিরন্তর।  

কিন্ত,ধাতুমলের আয়ুকাল টা আজ বড্ড বেমালুম
অশুভ নীরদের ধ্রুমজালে ক্ষত হই বহুবার,
অস্তাচলে নুয়ে পড়া বিভাবসুর অপেক্ষার দিবস ধরে মুখমণ্ডল গুজাতে হয় নিরবতার অন্তরালে।

অসহ্য যন্ত্রণায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছি রোজ-
বিদায়ের লহরীতে বাজে ব্যথার নিদারুণ ধ্বনি,
বিদায় হে পৃথিবী! রইবে না আর আমার জীবনের স্মারকচিহ্ন - দুখের বনসাইয়ে মোড়া এই জীর্ণ দেহ।

হয়তো ভবিষ্যতের ঊষালগ্নে উদিত হবে সমগ্র অবনী, আড়ষ্টতা চূর্ণন করবে হুঁশের স্টিমার,
হৈ-হুল্লে এগিয়ে যাবে হয়ত শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো-
কিন্তু রইবেনা আর্তনাদের এই পূণ্যহীন শূন্য চিত্ত।

স্ফূর্তিহীন দিবস গুলো শ্বেতবর্ণের শবাধার আর
সুগন্ধ-আগরে বিলিত হোক বিষাদের অনল,
বারিতে ডুবে যাক ছাইসম জীবন, মুছে যাক যাতনার ক্ষত- কাঁটাভরা ক্যাকটাস ও বিষন্ন তিমির।

আজ পুঁতে দিলাম অসহায়, গঞ্জনার শেষ পেরেক-
সৃষ্ট গমনের অবসান হবে ঐ কবর বেদীতে গিয়ে,
এই অশুভ মহাকাল'কে বলে দিও আমি আর নেই,
বিবেকহীন নির্বোধ সমাজ বিদায়! বিদায় হে পৃথিবী।