যখন আমি ছোট্ট ছিলাম
ধুলো খেলার মাঠে,
মা মামী-দের রান্না ঘরে
বাবার পিঠে হাটে।


রোদ ছিলাম ঐ উঠোন জুড়ে
মামার ছোট্ট গাঁয়ে,
দিকবেদিকর পথিক ছিলাম
আদুল দুটি পায়ে।


খিল-খিলিয়ে যেতাম ছুটে
জল-ফড়িংয়ের পিছু,
যা ছিলো মোর সমান্তরাল
উঁচু কিংবা নিছু।


আলোক ছায়ার দোদুল্যমান
ইচ্ছে মতো ঘুরে,
গান গেয়েছি আপন মনে
তানপুরা-টির সুরে।


মনের সুখে পান করেছি
অমানিশির মধু,
মুকুট পরে বর সাজিতাম
কেউ সাজিতো বঁধু।


আটঁকে গেছি আরাধনায়
ডাক আসে না কানে,
অলীক ছায়ার দাগ কেটেও
শৈশব আমায় টানে।