যদি ভালোবাসতে...
আদিগন্তের বক্ষ ছিঁড়ে চর্যাপদ থেকে গুটিকয়েক শব্দ এনে নিমিষেই লিখে ফেলতাম নবদিগন্তের এক মহা পাণ্ডুলিপি।


তিমিরের দেনাপাওনা চুকিয়ে তোমার নীরবচারী উঠুনে আরোপন করতাম অজস্র ল্যাম্পপোস্ট। অমানিশার বক্ষ হতে ছিনিয়ে আনতাম নবদিগন্তের সোনালি
একটি রাঙা ভোর।


যদি ভালোবাসতে...
ব্যাধিযুক্ত অবনীর- ব্যাধিরোধ করতে বসানো হতো একাধিক মেডিক্যালবোর্ড। গ্রহান্তরে জারি করা হতো
বেনামি কার্ফিউ। অনন্তর তোমার সম্মুখে স্ব সম্মুখস্থে করা হতো নিরঞ্জন একটি অবনী।


যদি ভালোবাসতে...
আমি পুতে দিতাম অসহায় গঞ্জনার শেষ পেরেক!
অবরুদ্ধ করতাম অনিয়মকে সিলগালা। ন্যায়ের বুকে লালন করা হতো আগামীর লালিত স্বপ্ন। নিঃসংশয়ে মিটিয়ে দিতাম পাকযন্ত্রের চাহিদা।


যদি ভালোবাসতে...
সমস্ত আর্তনাদ নিমিষেই চূর্ণন হতো স্বাভাবিক নিয়মে। অবনীর পরতে পরতে পাতিয়ে দিতাম লাল গালিচা, প্রত্যেকটি প্রাণীকুলের নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বেজে ওঠতো মহাপ্রলয়ের ধ্বনিবীণা।


যদি ভালোবাসতে...
নিমিষেই খোলে দিতাম আমার মনের স্বর্গ কপাট। তোমার আগমনী দেখে বুকের অভ্যন্তরে কেঁপে ওঠতো আমার দু-পাউন্ডের হৃদপিণ্ড।