কঠিন এক খাটুনির বয়ঃক্রমে দেহ খণ্ড করেছিল আমার অশুভ অন্তরাত্মা, নিগড় এক অশান্ত গোধূলি খামুশেই গলাধঃকরণ করেছিল আমার একগুঁয়ে অভিমান।

নিস্তব্ধ দুপুরে দুঃখের বনসাইয়ে ডেকে গেলো যতসব না বলা কথা, আজন্মকাল ছুটাছুটি করে বক্ষের অভ্যন্তরে রাখা অনিষ্পন্ন প্রেম গুলো।

ছিন্ন ছিন্ন অনুভূতিগুলো আজ বেওয়ারিশের মতো,
অনবরত ভাবনার আড়ালে শুধুই অনুশোচনা,  
প্রাচীরের সীমারেখায় চলে কেবলই শেকড়ের টানাপোড়ন- জাতপাত ছিঁড়ে মননে ভাসে প্রণয়ের উপাখ্যান।

তোমার জন্য- গোটাকতক জনম অপেক্ষায় হয়েছে দীর্ঘ নদী, রক্তচ্ছটা আর প্রাণবায়ু নিয়ে গোলাপ হয়ে ফুটেছিল কাজলগ্ন চোখের কোণে-
সেদিন প্রথম বুঝেছিলাম বাম পাঁজরের মৃদু কম্পন।

তোমার হৃদয়ের উষ্ণ উনুনে ন্যাপ্থার করে তোমার একান্ত কামনার স্বাদ, কিন্তু ভয়াবহের পারমাণবিক বিস্ফুরণে বক্ষের ভিতর বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে আমার দু-পাউন্ডের হৃদপিণ্ড।

তোমার স্বেদবারিতে শিক্ত হওয়া বসনে পার করেছি মুমূর্ষু একাধিক বসন্ত, আহত হৃদয়ে এখনো কড়া নাড়ে বিশ্বাসের কার্ণিশ ধরে, বোবা কন্ঠ ভেসে ওঠে না পাওয়ার যতসব যন্ত্রণা।

এখনো চলনের অন্তরাল ভুলে হেঁটে যায় এক দ্রাবিড় সভ্যতা থেকে আর্যাবর্ত- হরপ্পা থেকে মহেঞ্জোদারো, আমার আয়ত্তে ছিল তুমি নামক এক অনির্ধারিত রাশিফল।

মনির খানের অঞ্জনার মতো হয়তো তুমিও একদিন মর্মে-মর্মে গান হয়ে বাজবে আমার বেসুরা কন্ঠস্বরে,
পাঁজর ভাঙা প্রাণপণ গোপনে লুকায়িত থাকবে অপরিসীম আঁখির জল স্রোতে।

বিস্তীর্ণ আকাশ সমুদ্দুরে মিশিয়ে গেলো অনুভূতির কক্ষ, রিক্ত করেছে আরাধনার অন্তরাত্মা,প্লাবিত হয়েছে অফুটন্ত কুসুমের শাখা। খণ্ডিত হলো বেহিসাবি খাস জীবনের খতিয়ান।