জানো কবিতা! তুমি যখন স্পর্শ করো আমায়
তখন আমার হাজার ক্লান্ত, পরিশ্রম, তৃষ্ণা- জল না পাওয়া বৃক্ষের শিকড়ে পৌছে যায় অমৃতের তরল সুধা।


যখন তুমি স্পর্শ করো আমায় তোমার নিশ্চুপ চাহনি দ্বারা ক্লান্ত শরীরে - তখন আমার শতো বছরের শ্যাওলা ধরা রুক্ষ দেয়ালে দেখি রংধনুর আলপনার ছাপ।


যখন তুমি সামনে এসো, তোমার সুদর্শন মাথার এলোমেলো কালো কেশে- তখন আমার আকাশের  জমে থাকা ঘনঘটা ভয়াল মেঘ গুলো কেটে গিয়ে- সূর্যের ঝলমলে নরম আলোয় ছড়িয়ে পড়ে।


তুমি যখন মাতাল হয়ে আমার বুকে খুঁজো অমৃত সুধা
তখন আমার চির বোকা কন্ঠ থেকে ভেসে আসে- জীবনানন্দের "বনলতা সেন"
কাজী নজরুলের "বিদ্রোহী" কবিতা- ও
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ এর "আমার সোনার বাংলা"।


জানো কবিতা! আমাদের এক সাগর প্রেমের আজ বিচ্ছেদের বারিধারা। একদিন প্রেম-সাগরে ছেড়ে যাবার ঘুর্ণিঝড় হলো, উত্থাল হলো সমুদ্রের জলরাশি, আমার
ভাসমান জীবন ভেসে চলছে গন্তব্যহীন, জানিনা কোথায় তার নোঙর।


আমি সেই ঘুর্নিঝড়ের নিদারুন গুঞ্জন সয়ে যাচ্ছি তুমি ফিরে আসার আশায়। ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিল সমুদ্রের তটে,
তবুও তুমি ফিরলে না। তুমি এখন এক শুষ্ক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অন্য সমুদ্রে যুগলবন্দী।


কবিতা! আজও আমি তোমার সেই উৎস ছোঁয়া বা স্পর্শের স্বাদ এখনো মিটাই এক সমুদ্র প্রেমের বিরহ- বিচ্ছেদের নোনাজলে, এ যেন এক পাল ছাড়া কাগজের নৌকা, জীবন নদীর এপার ওপার ছুটে বেড়ায় নিরাশার দোলা চালে।  


আজ আর আমার কন্ঠে আসে না- জীবনানন্দের "বনলতা সেন"-- কাজী নজরুলের "বিদ্রোহী কবিতা"
বিশ্ব কবি'র "সোনার বাংলা"আজ আমার কন্ঠে কন্ঠিত হয় একটাই কবিতা ------ "কেউ কথা রাখেনি""