ক্ষরিত হলো স্মৃতির একখণ্ড পাংশুল পাতা,পরমায়ু কুঞ্জবনে আগমনী প্রভার নব কাণ্ডে নব উদয়ন।
চুকে গেছে সুখ ও বিষাদের বেহিসাবের খতিয়ান,
কম্পিত আজ জীর্ণ-শীর্ণে যুগলবন্ধী কত স্মৃতিরা।


স্বযত্নে আগলে ধরি অনবয়ব ভাবনা হৃদয় অলিন্দে,
জলমগ্ন ব্যর্থতায় আবদ্ধ নিঃশব্দের মৃদঙ্গে।
বোবা কন্ঠে ভেসে ওঠে অপেক্ষার অমিয় নির্যাস!
বিষন্ন বেহিসাব রজনীর একাকীত্বের পাষণ্ড মহড়া, আলোড়িত দাহে বিষাদের বিবর্ণ পোড়া গন্ধ।


নিস্ক্রিয় দীপ ও নিদ্রাহীন রবির অসাড় ঔজ্জ্বল্যে ঢেকে দেয় অব্যক্ত, আড়ষ্ট মনের গুহা,
সমাপ্তির পরিশেষে আহবান জানায় আলোহীন চন্দ্রাবতীর কক্ষপথ।


দেক-বেদিক উড়ন্ত খঞ্জনার পাখনায় ভর করে অভিপ্রায় ছুটে যাই- প্রিয়তম সুদূরিকায়,
পয়োনিধির প্রবল স্রোতে ভাসছে হরিৎপত্রের প্রেম,
অস্তপারের সন্ধ্যায় উন্মুক্ত মনে আর উড়েনা স্বর্ণাভ রঙের শ্যেন।


আজ বিদ্যমান রয়েছে বিতর্ক-বিভ্রান্তি- পারিপার্শ্বিকতার আবহে দু-খণ্ড আমার যুগান্তর,
জানা-অজানার সাতকাহন কাব্যগীতির সুর তুলি লয়হীন বাশুঁরী তে, স্পর্শের নৈকট্যের বাহিরে- নির্লিপ্ত-অস্পৃশ্য চিত্রমালা।


গোধূলির বেলা ছুয়ে সূচনা হয় অজস্র প্রফুল্ল গভীর রজনীর শেষ অবধি, -আজ নিঃসঙ্গ তুমিটার শূন্যতা অবিরত বহমান, উপচে পড়েছে সংগুপ্ত তৃপ্তির বাগান বিলাস।


প্রতীক্ষার মুখগহ্বরে হুড়কা এঁটেছে রাগ-অভিমান,
নিঃসঙ্গতার চৌকাঠে অজস্র ভাসে নীরদের ঢল,
পৌরাণিকের সুড়ঙ্গের মতোই তেজশূন্য ক্ষীণ দেহখানি, অবিরাম বয়ে যায় দূর্লভ-দুর্ভেদ্য মনের কলঙ্কিত অধ্যায়।