ছিদ্র চালের ভাঙা বেড়ায়
চাঁদ তারা দেয় উঁকি,
দিন চলে যায় হাত পেতে মোর
সন্ধ্যা বেলায় ঢুকি।

বৈশাখ শেষে জৈষ্ঠ্য এলে
ঘর খানা মোর দুলে,
ভূমি-হীন তাই ঘর বেঁধেছি
সাঙ্গু নদীর কূলে।

যা ছিল মোর পৈতৃক ভিটা
গেলো নদীর তলে,
আতঙ্কে রই ঘর খানি হায়
ডুববে কখন জলে।

মেঘ গর্জনে বুক কাঁপে মোর
নড়বড়ে ঘর ধরে,
কখন জানি যায় উড়িয়ে
কালবৈশাখীর ঝড়ে।

একটু করেই বৃষ্টি নামলে
যায় গড়িয়ে পানি,
ঝড় বাদলে রোদের তাপে
কষ্টের জীবন খানি।