কেউ একজন আসুক! একটি মরমী হাতে আমাকে স্পর্শ করুক, শ্রান্তির শরীরের বিন্দু বিন্দু জমে থাকা স্বেদবারি গুলো তার আঁচরে মুছে দিক! আমার বিক্ষিপ্ত অগোছালো চুলগুলো তার পঞ্চ আঙ্গুলে বিলি কাটুক।

আমার অন্ধকার নীরস ভূমিতে সিঁদ কাটে রোজ দুস্তর আলোক-দীপ, তার শীতল বক্ষে জুড়ে আমার সুখ-দুঃখ  গুলো সম-বন্টন করে নিক অহর্নিশি। আমার অন্তরিন্দ্রিয়ে হোক একটা বিশুদ্ধ মন।

কল্পনার গল্পের ফোয়ারা ফুটুক অবয়বে, নিস্তব্ধ পুরো শহর আলোকিত হোক নীয়নবাতির উজ্জ্বল আলোয়।
এই অমাবস্যার সামনে বিছিয়ে দিক একফালি জোছনার চাদর, প্রতিকূল ভেঙে দৃঢ়চেতা দীপ্তপায়ে হেঁটে আসুক শান্ত একটা মায়াবী শরীর।

যার হাত ধরে নির্দ্বিধায় পাড়ি দেওয়া যাবে দিগন্তের শতসহস্র গিরিপথ, বেগবান স্রোতের জল-তরঙ্গিত সাগর-মহাসাগর! যেন হয় অবিরূদ্দ্ধ তীর্থের নবযাত্রা,
তার বক্ষে ঠাঁই হোক আমার আবহমান কাল।

যার প্রীতি-প্রণয়ে মুছে দিক আমার নির্মম দুর্বিষহ জীবনের ছন্দহীন বেসুরো সকল ক্লান্তির অবসাদ,  
একটা অতলান্ত চুম্বনের তৃষ্ণা নিয়ে ছুটছি দিকবেদিক,
খুব করে মন চায় একজন রমণী আমার আমৃত্যু জীবনের বন্ধু হোক।

এমন একজন বন্ধু হোক- যার কাছে আমার সমস্ত স্বত্ব অর্পণ করতে পারি নির্দ্বিধায়! যে স্থাপন করতে পারে আমার স্থাবর-অস্থাবরের সকল সম্পদ, আমার সত্তা, আমার আত্মার অনাদরণীয় প্রাণহীন প্রাণ নির্ভয়ে।

কেউ একজন আসুক! যার মায়াবী চাহনিতেই অঙ্গার হোক বিলয় একাকিত্বের বেদনার বেদীতল! জ্বালাময়ীর গদ্য-পদ্যের নিয়ম ভাঙ্গুক একেকটি কামোন্মত্ত কবিতা! কেউ একজন আসুক আমার চিত্তের অন্তঃপুরে।