হে-হেমন্ত
স্মৃতিমাখা সেই চণক পথটি ধরে
আগমন হলো তোমার, নব দিবসে।
সর্বাঙ্গে বহিল ভালো লাগার এক উদ্দিপণা
সোনালী ধানের শীসে, শিস দেয় দোয়েলে।
অনেক দিন পরে, ফিরে এলে
প্রিয় হেমন্ত, কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে।।


হে-হেমন্ত
একমুষ্টি স্বপ্ন নিয়ে, আসলে আবার
পল্লী গাঁয়ের মাঝে। নব রুপে নব সাঁজে,
এই নবান্নের দেশে, মেঘলা প্রহরে
রঙ্গবাহারি পাহাড়ি ফুলের সুবাসে
তোমাকে জানাই রক্তিম ভালবাসা।।


হে-হেমন্ত
জগৎ দুঃখী বিশ্ব বিজয়ী, জননীর মুখে
তোমার পদার্পণে পূর্ণিমার শশী হাঁসে,
তোমার পদচিহ্নে কষ্ট লুকায় শিশির কনায়।
দিবালোক শেষে, অরুণ লুকায়
আঁধারের ঘন জাপটায়, জ্যোতির আভায়।।


হে-হেমন্ত
সুখ হয়ে এলে তুমি, সোনালী রোদে
জননীর আচলে, বুঝি মুখ লুকাতে।
তোমার সাথে আবার দেখা হবে
ভাবিনি এই জীবনে, থেকে যাও তুমি
অনন্তকাল আমাদের মাঝে।।


হে-হেমন্ত
দিপ্ত আকাঙ্ক্ষায়, প্রকৃতির মাদুর্যতায়
কৃষাণীর ভরা যৌবনায়,
বর্ষার বিদায়কালোচিত সভায়।
পাঠ-কড়ির মৃদু গন্ধ, ভেসে আসে আঙ্গিনায়
হে-হেমন্ত, তোমাকে স্বাগতম জানাই।।
            
বাগবাড়ী, লক্ষ্মীপুর।
রচনাকালঃ ১২--১০--২০১৬ইং
ক্রমিক-নংঃ ১৩৭